ফের অ্যাপোলো নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য কমিশন
শিশু কুহেলি চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা না দেওয়ায় কঠোর কমিশন। নির্দেশ দেওয়ার পর একমাস কেটে গেলেও, অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ এখনও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি
২০১৭-র এপ্রিলে কুহেলি চক্রবর্তী নামে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।
হাসপাতালের থেকে এখনও কুহেলির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। নির্দেশের পরে পেরিয়ে গিয়েছে এক মাস। তাই এবার কঠোর কমিশন।
এবছরের ১৩ এপ্রিল জোকার ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কুহেলিকে। ১৫ এপ্রিক কুহেলিকে বাইপাসের ধারে কাদাপাড়ায় অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চার দিন পরে সেখানেই মারা যায় কুহেলি। পরিবারের অভিযোগ ছিল, অ্যাপোলোতে ভর্তির পর প্রথম দুদিন শিশুটির প্রতি কোনও নজর দেওয়া হয়নি। কোলোনোস্কপি করার জন্য শিশুটিকে অ্যাপোলোতে ভর্তি করানো হলেও, পর পর দুদিন সকাল থেকে সন্ধে শিশুটিকে খালি পেটেই রাখা হয় বলে অভিযোগ। ১৮ এপ্রিল শিশুটিকে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া হয়। এরপরেই শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিনেশনে দেওয়া হয়। পরের দিনেই শিশুটির মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে ফুলবাগান থানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পর, ২৩ জুন ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। রায়দানের দিন থেকে, এক সপ্তাহের মধ্য়ে, ১০ লক্ষ টাকা এবং বাকি ২০ লক্ষ টাকা তিন সপ্তাহের মধ্যে কুহেলির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমন কী টাকা দিতে দেরি হলে, বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে দীর্ঘসূত্রিতার কারণ জানতে চাওয়া হবে।