কুণাল নিজে ঘুমের ওষুধ খেলেন নাকি জোর করে খাওয়ানো হল, উঠছে প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে প্রেসিডেন্সি জেলে নিজের সেলে ঘুমের ওষুধ খান সারদা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানাচ্ছে, তিনি ৫৮টি বড়ি খেয়েছেন! আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি তিনি।
আরও
পড়ুন:
ঘুমের
ওষুধ
খেয়ে
আত্মহত্যার
চেষ্টা
কুণাল
ঘোষের,
অবস্থা
আশঙ্কাজনক
আরও
পড়ুন:
সারদা:
দোষীদের
ধরছে
না
সিবিআই,
জেলেই
আত্মহত্যার
হুমকি
কুণালের
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে তোপ দাগতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা তথা কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ কিছু যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, "প্রথমত, কুণাল ঘোষ নিজে ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে যে জোর করে জেল কর্তৃপক্ষই ওষুধ খাইয়ে দেয়নি, কী প্রমাণ আছে? ফলে বিষয়টা তদন্ত করে দেখতে হবে। দ্বিতীয়ত, কুণাল ঘোষ হুমকি দিয়েছিলেন উনি আত্মহত্যা করবেন। তা হলে কেন জেলে নজরদারি বাড়ানো হল না? তৃতীয়ত, জেলের ভিতরে অতগুলো ঘুমের ওষুধ এল কী করে? কে দিল? চতুর্থত, কুণাল ঘোষকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি সারদা মিডিয়ার কর্মীদের পিএফ জমা দেননি। এখন দেখা যাচ্ছে, শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, সিউড়ি বিভিন্ন জায়গায় সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলায় ওঁর নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, উনি অপরাধমূলক প্ররোচনা দিয়েছেন। একটা লোক একই সঙ্গে কতগুলি জায়গায় প্ররোচনা দিতে পারে?" অরুণাভবাবুর দাবি, আজকের ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, "এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষের মদত রয়েছে। কুণাল ঘোষের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা হচ্ছে।"
সিপিএম নেতা তথা আর এক আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এমনও তো হতে পারে যে, জেলের কোনও অফিসার বা কর্মী তাঁকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছেন। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস একাংশ চাইছে, কুণাল ঘোষ ও আসিফ খানকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে। তাতে অনেকের সুবিধা হবে। সুতরাং এর পিছনে সুপরিকল্পিত রাজনীতিক চক্রান্ত রয়েছে।"
বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেছেন, "কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর কেন নজরদারি বাড়ায়নি জেল কর্তপক্ষ? কীভাবে জেলের ভিতরে ঘুমের ওষুধ পৌঁছল? এই প্রশ্নগুলির যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।"
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, "কুণাল ঘোষ তৃণমূল নেতাদের মুখোশ খুলে দিচ্ছিলেন। তাই তাঁকে সরানোর চেষ্টা চলছিল। এটা নিশ্চিতভাবেই একটা চক্রান্ত।"
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, "সারদা-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনেকে জড়িত। কুণাল ঘোষকে নিয়ে রাজ্য সরকারের অনেকে অস্বস্তিতে ছিল। তাই আসল ঘটনা জানতে নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করা হোক।"