নিউ দিঘার হোটেলে রহস্যমৃত্যু, বন্ধ ঘরে মিলল যুবকের ঝুলন্ত দেহ
নিউ দিঘার একটি হোটেল থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল।
নিউ দিঘার এক হোটেলে রহস্য মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার হোটেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিজিত দত্ত নামে ৩০ বছরের ওই যুবককের মৃতদেহ । পুলিশ জানিয়েছে তাঁর বাড়ি লিলুয়া থানার জগদীশপুর ফাঁড়ির চামরাইতে।
জানা গেছে, মাত্র একসপ্তাহ আগে হাওড়ার এক ডাক্তারের বাড়িতে চালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। গত কাল রাতে এই ডাক্তার তাঁর স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে নিউ দিঘার হোটেলে আসেন। চালক অভিজিতও সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা দুটি ঘর নিয়েছিলেন। এরপর চারজনই একসঙ্গে বসে বেশ খানিকক্ষণ মদ্যপান করেন।
ওই ডাক্তারের স্ত্রীর দাবি, এরপর অভিজিত ও বাকি দুজন ওই ঘরেই শুয়ে পড়েন। তিনি উঠে পাশের ঘরে চলে যান শুতে। তাঁর অভিযোগ তিনি ঘুমিয়ে পড়ার পরই অভিজিত তাঁর ঘরে এসে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করেন। এতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু অভিজিত বিষয়টি অস্বীকার করে ফের পাশের ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে।
ডাক্তারের পরিবারের বয়ান অনুযায়ী ঘুম ভাঙার পর, ভোর ৬টা নাগাদ তিনজনেই হোটেলের বাইরে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। সেসময় ঘরে একাই ছিলেন অভিজিত। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। বারবার ধাক্কা দিয়েও অভিজিতের সাড়া না পেয়ে তাঁরা জানলা দিয়ে দেখতে পান অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ।
তারপরই দিঘা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু, এই মৃত্যু নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। ডাক্তারদের পরিবারের তিনজনের বয়ানে অসঙ্গতি আছে। সেইসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে অভিজিতের দেহ সিলিং থেকে ঝুললেও হাঁটু ঠেকে গিয়েছিল বিছানার সঙ্গে। কাজেই অভিজিতকে খুন করে তারপর মৃতদেহটি ঝুলিয়ে দেওয়াও হয়ে থাকতে পারে বলে তারা অনুমান করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে জানিয়েছে তারা।
লিলুয়ায় অভিজিতের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। ঝিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক্তারের স্ত্রী সহ ডাক্তার ও তাঁর ভাইকে আটক করা হয়েছে।