সমাজের পিছিয়ে পড়াদের শিল্পকর্ম নিয়ে অভিনব হস্তশিল্প মেলা বিরাটিতে
সমাজের মূল স্রোত থেকে ওরা অনেক দূরে। আর পাঁচটা মানুষের মতো ওরা স্বাভাবিক জীবন যাপনে নেই। সমাজের সেই বিশেষ প্রতিভা সম্পন্নদের তৈরি হাতের কাজের বিভিন্ন শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রথম বিরাটির বুকে আয়োজিত দশ
সমাজের মূল স্রোত থেকে ওরা অনেক দূরে। আর পাঁচটা মানুষের মতো ওরা স্বাভাবিক জীবন যাপনে নেই। সমাজের সেই বিশেষ প্রতিভা সম্পন্নদের তৈরি হাতের কাজের বিভিন্ন শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রথম বিরাটির বুকে আয়োজিত দশ দিন ব্যাপী এক হস্তশিল্প মেলা।
যাদের পেছনে ছিল ডিউ ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। 'An approach to standby humanity' কে মন্ত্র করে এই সংস্থা সমাজের ওই বিশেষ মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বহুমাত্রিক সামাজিক কাজ কর্মের মধ্যে গত সাত বছর জড়িয়ে রয়েছে, মূলত অর্থনৈতিকভাবে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য বিভিন্ন হস্তশিল্প এবং লোকশিল্পের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় এই দশ দিনের মেলায়।
এছাড়াও তাদের তৈরি হাতের কাজ তুলে ধরা হয়। কাঁথাস্টিচ, বাটিক, বাঁধনী, অ্যাপ্লিক, পাট শিল্পসামগ্রী, মোষের শিং থেকে প্রস্তুত দ্রব্য, গহনা, অলংকার, হস্তনির্মিত খাবার, পটচিত্র এবং আনুষঙ্গিক পণ্যের এক বিপুল সম্ভার বিকিকিনি মাতিয়ে চলেছে। পুরুলিয়া, বীরভূম, মেদিনীপুর, হাওড়া, নদীয়া, বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, এবং লখনউ-এর কারিগররা এই মেলায় অংশ নেন।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ২৩ আগস্ট মেলার উদ্বোধন করেন সাংসদ সৌগত রায়। সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করেও শোনানো হয়। আগামীতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা জানান সংস্থার তরফে প্রিয়াঙ্কা মৈত্র।