বিজেপিকে পরাস্ত করতে বৃহত্তর ঐক্যের সওয়াল, জোটে কি থাকছে কংগ্রেস, কী বলছেন সীতারাম
বিকল্প নীতি নিয়ে সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্য বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে। গুজরাতের নির্বাচন সেই সম্ভাবনার রাস্তা দেখিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্ভাবনাকে জিইয়ে রেখে এমনটাই মন্তব্য করলেন সীতারাম ইয়েচুরি।
বিকল্প নীতি নিয়ে সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্য বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে। গুজরাতের নির্বাচন সেই সম্ভাবনার রাস্তা দেখিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্ভাবনাকে জিইয়ে রেখে এমনটাই মন্তব্য করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
বিকল্প নীতি নিয়ে সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্য বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে। কংগ্রেসের নাম না করে জোট সওয়াল করেন সীতারাম ইয়েচুরি। বিজেপিকে রুখতে সিপিএম তথা বামপন্থীরা কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সীতারাম কংগ্রেসের নাম করেননি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কংগ্রেসকে ছাড়া এই জোট যে সম্ভব নয়, তা বঙ্গ সিপিএমের নেতার ভাল করেই জানেন। তবে কোন লাইনে জোট হবে, তা নিয়ে কলকাতায় আসন্ন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক এবং হায়দরাবাদের পার্টি কংগ্রেসে চূড়ান্ত করবে সিপিএম।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক কিংবা পার্টি কংগ্রেসের আগে, সীতারাম ইয়েচুরি ভোটের আগে থেকেই অভিন্ন ন্যুনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে 'বৃহত্তর ঐক্য' তৈরি করতে চাইছেন। কেননা গুজরাতে কংগ্রেস পরাজিত হলেও, বৃহত্তর জোট যে একটা চাপ তৈরি করতে পারে তা প্রমাণিত হয়েছে। রাহুলের নেতৃত্বে পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল, দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানি এবং ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকুরের মধ্যে ঐক্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে ইতিবাচক দিক বলেই মনে করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। ইয়েচুরির কথায়, গুজরাতে বিজেপির আসন কমেছে। আর ২০১৪-র নিরিখে ভোট কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ।
মঙ্গলবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে কর্মচারী আন্দোলনের তাত্ত্বিক নেতা সুকোমল সেনের স্মরণসভায় সরাসরি কংগ্রেসের নাম না করেও জোটের ফর্মুলা তুলে ধরেন সীতারাম ইয়েচুরি। সেই সূত্রে, ২০০৪ সালে কংগ্রেসকে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে একই ধাঁচে জোট গড়ার ফর্মুলার কথা জানিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৪ সালে ভোটের আগে কোনও জোট না করলেও, ভোটের পরে অভিন্ন ন্যুনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল সিপিএম। তবে ২০০৪-এর পরিস্থিতি ছিল আলাদা। সেই নির্বাচনে বামেরা সারা দেশে ৬১ টি আসন দখল করেছিল। এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে বিজেপির রমারমা অবস্থায় জোটের কোন রূপ কার্যকরী হয় তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।