পশ্চিমবঙ্গে মৃত করোনা রোগীর সৎকারের বহু পরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে গেল খবর! নয়া খবরে চাঞ্চল্য
অভিযোগ সাহা পরিবারের। তাঁদের বাড়ির সদস্য বাংলার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। কিন্তু পরিবারের দাবি, হরিনাথ সাহার মৃত্যুর প্রায় ৪ দিন বাদে তাঁরা হাসপাতালের থেকে পান মৃত্যু সংবাদ, ততক্ষণে সবকিছু শেষ! এই খবর প্রকাশিত হয়েছে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে।
ঘটনাক্রম
৭০ বছরের হরিনাথ সাহা করোনা আক্রান্ত হয়ে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে ২৯ এপ্রিল তাঁকে কোভিড পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর ৫ মে পরিবারের তরফে হাসপাতালে খোঁজ নেওয়া হয়। হাসপাতাল জানায় কোনও খবর নেই দেওয়ার মতো। এরপর ৬ মে আবার ফোন যায় পরিবারের তরফে হাসপাতালে। উত্তরে জানানো হয় হরিনাথবাবু ২ রা মে অর্থাৎ ৪ দিন আগে মারা গিয়েছেন। এমনই দাবি পরিবারের।
পরিবারের গুরুরতর অভিযোগ
পরিবারের তরফে হরিনাথ বাবুর ছেলে অরিজিতের দাবি, ১ মে তারিখে হাসপাতাল জানায় তাঁর বাবা গুরুতর অসুস্থ। ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। তাঁর দাবি, এরপর যে তাঁর বাবা মারা যান, সেখবর হাসপাতাল জানায়ইনি তাঁদের। মৃত্যুর ৪ দিন বাদে যখন তাঁরা খবর পান, ততদিনে হরিনাথ বাবুর সৎকার করে দিয়েছে হাসপাতাল।এমন অভিযোগ পরিবারের।
কঠিন পরিস্থিতি
হরিনাথবাবু যখন হাসপাতালে ভর্তি তখন তাঁর গোটা পরিবার কোয়ারেন্টাইনে আটকা পড়ে। এমন অবস্থায় হাসপাতালে কেবল ফোন করে খোঁজই নিতে পেরেছেন তাঁরা। আর তাতেই এমন কাণ্ড ঘটে যায়।
স্বাস্থ্য দফতরের কাছে খবর নেই!
অরিজিতের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ঘটনার কোনও খবর ছিল না। তাঁরা সেখানে ।যোগাযোগ করলে কোনও খবর পাননি। এদিকে, ওয়ার্ড মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দেল কলকাতা কর্পোরেশন নিয়ে গিয়েছে। এদিকে হাসপাতাল জানিয়েছে অভিযোগ ঘিরে কোনও মন্তব্য তারা করতে চায়না। তবে নি.ম মাফিকই সমস্ত কিছু হচ্ছে বলে জানানো হয়। পরিবারের তরফে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেই মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।