গোর্খাল্যান্ড চাইলে আলোচনায় নেই কেন গুরুং, বনধের বিরোধিতা করে প্রশ্ন জিএনএলএফের
একা বিনয় তামাংই নন, এবার বিমল গুরুংকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না জিএনএলএফও। পাহাড়ে বনধ তুলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান।
একা বিনয় তামাংই নন, এবার বিমল গুরুংকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না জিএনএলএফও। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জিএনএলএফ নেতা মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, 'দূর থেকে আওয়াজ তুললে কিছু হবে না। সামনে আসতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা যখন শুরু হয়েছে, সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে পাহাড়ের মানুষের দাবি উত্থাপন করতে হবে।'
এই কটাক্ষ যে স্পষ্টতই বিমল গুরুংয়ের দিকে ছিল, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। জিএনএলএফের পক্ষ থেকে এদিন গুরুংয়ের নাম না করেই বলা হয়, দার্জিলিং থেকে পালিয়ে গিয়ে গোর্খাল্যান্ড দাবিতে হিংসা ছড়ানোর কোনও অর্থ হয় না। সেই কাজটাই করে চলেছে মোর্চা। এর ফলেই মোর্চায় ভাঙন ধরছে। সম্প্রতি একদল মোর্চা সমর্থক জিএনএলএফে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বিমল গুরুং আর বিনয় তামাংয়ের লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন।
উত্তরকন্যার সর্বদল বৈঠকের পর আরও স্বাভাবিক হয়েছে পাহাড় পরিস্থিতি। প্রতিদিনই দোকান-বাজার খুলছে। স্কুল-কলেজও শুরু হয়েছে, চালু হয়েছে অফিস আদালত। কিন্তু সবটাই হচ্ছে আতঙ্কের পরিবেশে। এবং সার্বিকভাবে তা হচ্ছে না। এরই মধ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসাও ছড়াচ্ছে।
শনিবার মিরিকে মোর্চা সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ ৩৩ জন মোর্চা সমর্থককে গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়। কার্শিয়াংয়ে শিক্ষকরা মিছিল করেছেন বনধ প্রত্যাহারের দাবিতে। অন্তত বনধের আওতা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে বিমল গুরুং ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবিতে অনড় রয়েছেন। প্রতিদিনই তিনি মোর্চা সমর্থকদের উসকানি দিয়ে অশান্তি বাধাচ্ছেন। তবু পাহাড়ের মানুষ এখন রাস্তায় নেমে বনধের প্রতিবাদ করছেন। জিএনএলএফ পক্ষ থেকেও সম্প্রতি মিছিল করে আলোচনায় মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা বের করার আর্জি জানানো হয়েছে। শুধু বনধ করলে কলকাতা ও দিল্লি উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তাঁদের অভিমত।
জিএনএলএফের পক্ষ থেকে এদিন দাবি করা হয়, আলোচনা যখন শুরু হয়েছে, তখন বনধ কেন। পাহাড়ের সব দল বৈঠকে যাচ্ছে। আলোচনা শুরু হয়েছে। তখন মোর্চা সুপ্রিমোর উচিত আলোচনায় এসে নিজের দাবি জানানো। জিএনএলএফের দাবি, আমরাও গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে। কিন্তু হিংসার পক্ষে নয়।