রেজিস্ট্রির দুদিন আগে হবু বর অন্য ছাদনাতলায়! ধরনাতেও জুটল লজ্জা আর অপমান
দুদিন পরেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার কথা ছিল তাঁদের। তার মধ্যেই প্রেমিকা জানতে পারলেন হবুবর গিয়েছেন অন্য ছাদনাতলায়। তারপরেই ধরনায় বসেছিলেন প্রেমিকের বাড়ির সামনে।
দুদিন পরেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার কথা ছিল তাঁদের। তার মধ্যেই প্রেমিকা জানতে পারলেন হবুবর গিয়েছেন অন্য ছাদনাতলায়। তারপরেই ধরনায় বসেছিলেন প্রেমিকের বাড়ির সামনে। কিন্তু তাতেও ফল হল না, শেষপর্যন্ত লজ্জায়-অপমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি, তবে পরিবারের নজর পড়ে যাওয়ায় রক্ষা পান সে যাত্রায়।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছিলেন প্রেমিক বিকাশ পাল। স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তিনি। তাঁদের সম্পর্কের কথা দুবাড়ি জানত, তাঁদের বিয়ের ঠিকও হয়েছিল। রেজিস্ট্রির বাকি ছিল আর মাত্র দুদিন। তার আগে বিকাশ লুকিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে বলে অভিযোগ।
আর তা জানাজানি হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তরুণী। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পরই ধূপগুড়ির ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেছেন বিকাশ। সম্প্রতি তাদের বিয়ের ঠিকও হয়েছিল। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল দুদিন পরেই। তার আগেই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
প্রেমিকের কীর্তিকলাপ শুনে নিজেকে অপমানিত বোধ করেন তরুণী। প্রথমে প্রতিবাদ জানিয়ে বিকাশের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিল তরুণী। কিন্তু বিকাশ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তিনি প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরে এসে লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণী।
গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই দৃশ্য জানালা দিয়ে তরুণীর ভাইঝি দেখে ফেলে। তার চিৎকারেই ছুটে আসেন বাড়ির লোকজন। দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণীকে রক্ষা করেন তাঁরা। বর্তমানে তিনি ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।