বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কিশোরীর মুখে অ্যাসিড পাঁশকুড়ায়
স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। তার জামাইবাবুর ভাই অর্থাৎ দিদির দেওর শেখ শাকির বেশ কিছুদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। কয়েকবার কুপ্রস্তাবও দেয়। শেষ পর্যন্ত বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। অথচ মেয়েটি তাতে রাজি হচ্ছিল না। এ নিয়ে দিদির কাছে নালিশও জানায়। দিদি দেওরকে ভর্ৎসনা করেন। এর পরই যুবকটির রোখ চেপে যায়। সে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার ফন্দি আঁটতে থাকে। গতকাল মেয়েটি তার বোন এবং মায়ের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল। তখন জানলার ফাঁক দিয়ে শেখ শাকির অ্যাসিড ছুড়ে দিয়ে পালায়। অ্যাসিডে মেয়েটির মুখের একটি অংশ জ্বলে গিয়েছে। তার বোনের একটি চোখ পুড়ে গিয়েছে। মেয়েটির মায়ের হাতও পুড়ে গিয়েছে অ্যাসিডে। তিনজনই এখন তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত মেয়েটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও তার বোনের চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ঘটনায় পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে তল্লাশি চলছে তাকে ধরতে।
নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, "এটা একটা ভয়ানক প্রবণতা। যে কোনও মেয়ে যে কোনও সময়ে অ্যাসিড হামলার স্বীকার হচ্ছেন। মেয়েদের ব্যাপারে আজও দখলদারি মনোভাব ছাড়তে পারেনি অধিকাংশ পুরুষ। তারা ভাবে, সংশ্লিষ্ট মেয়েটি আমার সম্পত্তি। তাই যা খুশি করতে পারি। এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে তাপস পালের মতো জনপ্রতিনিধিদের মন্তব্য, যাঁরা বলছেন পার্টির ছেলে পাঠিয়ে বিরোধী দলের সমর্থকদের মেয়ে-বউদের রেপ করিয়ে দেব। মেয়েদের ওপর হামলার ঘটনাকে তাই গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ-প্রশাসনও। এতে সমাজে অরাজকতার সৃষ্টি হচ্ছে।"