রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক সমাবেশে ভারতের একমাত্র অংশগ্রহণকারী কলকাতার দিলনসিন

দিলনসিন আলমগির, কলকাতা এই মুসলিম তরুণী নিজে অত্যন্দ্র দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছেন। বাবা জুতোর বাক্স তৈরি করেন। কিন্তু দারিদ্র তাঁর লড়াই বন্ধ করতে পারেনি। স্বাধীনভাবে নিজের ব্যবসা শুরু করেন দিলনসিন। বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহার করে তা দিয়ে দুর্দান্ত সব হাতের কাজ তৈরি করেন।
দিলনসিনের কথায়, "আমি বিশ্বাস করি আমি আমার সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করার ক্ষমতা রাখি। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আমি ও আমার বন্ধু আগে বাজার সম্পর্কে ভাল করে সমীক্ষা চালাই। এবং দেখি যে বাজারে হস্তশিল্পের বহুল চাহিদা রয়েছে।" সহায় সংস্থা এবিষয়ে দিলনসিনকে সাহায্য করেন।
'সহায়'- কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের সম্প্রদায় থেকে দিলনসিন প্রথম মহিলা যিনি সিওয়াইএফআই-এর বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। মে মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত চলে এই বৈঠক সমাবেশ। নিউ ইয়র্কের রাষ্ট্রসংঙ্ঘ এবং ইউনিসেফের হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক।
এই বৈঠকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাঙ্ক পেশাদার, সরকার ও অন্যন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন, আর্থিক প্রগতি ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই কনফারেন্সে। দিলনসিনের লক্ষ্য শুধুমাত্র মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসা করাই নয়, বরং পরিবেশ-বান্ধব পণ্য তৈরি করা। এই বিষয়ে রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দিলনসিন। এই কাজে তিনি নিজের বন্ধুদেরও নিয়ে এসেছেন।
এখনও পর্যন্ত এই ব্যবসায় কমপক্ষে ৬জনকে যুক্ত করেছেন দিলনসিন। কী করে ঘরের ফেলে দেওয়া জিনিসকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার যোগ্য সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায়, সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা তাঁদের লক্ষ্য। এই ব্যবসায়ে এলাকার মানুষদেরও যুক্ত করতে চান দিলনসিন। দিলনসিনের কথায়, এখন আমাদের সম্প্রদায়ের মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ে করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, সাবলম্বী হচ্ছে, এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।