চিকিৎসকদের চেষ্টা বিফলে, হার মানল পুরুলিয়ার সূচ বিদ্ধ শিশু
এসএসকেএমে ভর্তি পুরুলিয়ার সূচ বিদ্ধ শিশুর মৃত্যু। ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে মৃত্যু। জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, সোমবার অস্ত্রোপচার করে ৭ টি সূচ বের করেন চিকিৎসকরা
এসএসকেএমে ভর্তি পুরুলিয়ার সূচ বিদ্ধ শিশুর মৃত্যু। ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, সোমবার অস্ত্রোপচার করে ৭ টি সূচ বের করেন চিকিৎসকরা। বুধবার থেকে অবস্থার অবনতি, শুক্রবার ভোররাতে শিশুটির মৃত্যু হয়।
দেহে ৭ টি সূচ নিয়ে জীবনের জন্য লড়াই করছিল সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট শিশুটি। ১১ জুলাই মঙ্গলবার পুরুলিয়ার হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয় শিশুটিকে। ১৫ জুলাই শনিবার শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে।
এসএসকেএমের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ পিকুতে ভর্তি করা হয়েছিলে শিশুটিকে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার পর সোমবার অস্ত্রোপচার করে ৭ টি সূচ বেরও করা হয়। চিকিৎসকরা শিশুটির অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছিলেন। যৌনাঙ্গ, মুখ, চোখ- সারা শরীরেই ছিল ক্ষত। একইসঙ্গে একটি হাতও ছিল ভাঙা।
শিশুটির মা স্বামী পরিত্যক্তা। পুরুলিয়ার মফস্সল থানার নদিয়ারা গ্রামেরই বাসিন্দা ওই মহিলা, গ্রামেরই সনাতন গোস্বামীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ নেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সনাতন গোস্বামীর সঙ্গেই ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবসর প্রাপ্ত হোমগার্ড সনাতন গোস্বামীই শিশুটির ওপর অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। পুরুলিয়ার হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান সনাতন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, কিংবা পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালালেও এখনও ধরতে পারেনি তাকে।