ওমিক্রন দেশেও আছে, শুধু বিদেশ থেকে আসছে না! সতর্কবার্তা প্রাক্তন সিএসআইআর প্রধানের
ভারতে ভ্রমণকারীরাই করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আসছেন, তা ভাবা ভুল হবে। করোনার এই নয়া রূপ শুধু বিমানবন্দর থেকে আসছে না, এই ওমিক্রন দেশের মধ্যেই রয়েছে। এবং তা সমস্ত বড় শহরেই উপস্থিত থাকতে পারে।
ভারতে ভ্রমণকারীরাই করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আসছেন, তা ভাবা ভুল হবে। করোনার এই নয়া রূপ শুধু বিমানবন্দর থেকে আসছে না, এই ওমিক্রন দেশের মধ্যেই রয়েছে। এবং তা সমস্ত বড় শহরেই উপস্থিত থাকতে পারে। প্রাক্তন সিএসআইআর প্রধান এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছেন দেশকে।
প্রাক্তন সিসিএমবি ডিরেক্টর ডঃ রাকেশ মিশ্র অবশ্য বলেন, করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে তেমন কোনও উপসর্গ মেলে না। এটা কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে সমর্থ হলেও তা এখনও পর্যন্ত বিশাল প্রভাব ফেলতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়া ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কৃত হওয়ার পর পর্যবেক্ষণে এমনই অভিমত উঠে এসেছে।
হায়দরাবাদ-ভিত্তিক সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বা সিসিএমবি হল একটি মৌলিক জীবন বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা ভারত সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল সিএসআইআর- এর অধীনে কাজ করে।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তা সরকারকে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের উপর নজরদারি বাড়াতে প্ররোচিত করেছে। দুই রোগীর মধ্যে একজন বেঙ্গালুরুর ৪৬ বছর বয়সী বাসিন্দা ছিলেন, যার কোনও ভ্রমণ ইতিহাস ছিল না। অন্যজন ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে এসেছিলেন ভারতে।
ডাঃ মিশ্র বলেন, "এর অর্থ হল সমস্ত সংক্রমণ বিমানবন্দর থেকে আসছে না।" ওমিক্রন এখানেই আছে। আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, আমরা যা শনাক্ত করি তা একমাত্র পরিধি নয়। প্রকৃতপক্ষে, এখন পর্যন্ত ভারতের বেশিরভাগ বড় শহরগুলিতে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ব্যাপক পর্যবেক্ষণ এবং জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পদক্ষেপে নিতে হবে বলে তাঁর অভিমত।
যাইহোক, ডক্টর মিশ্র বারবার জোর দিয়েছেন, করোনার ওমিক্রন রূপের হদিশৎ মেলার পর ভারতীয়দের জন্য তা জেগে ওঠার আহ্বান। আগামী দু'সপ্তাহের স্পষ্ট হয়ে যাবে ওমিক্রনের বিস্তার লাভ করতে সক্ষম হয় কি না দেশে। যদি এর সংক্রমণ ক্ষমতা কম হয়, সেটা আমাদের দেশের পক্ষে আশীর্বাদ হতে পারে।
এই অবস্থায় আমাদের করোনা বিধি পুনরায় মেনে চলতে হবে। ভারতে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ অনেটকাই হ্রাস পেয়েছে। কমেছে সক্রিয়ের সংখ্যা। সেইসঙ্গে করোনা টিকাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায়, ভারতের সবাই করোনা বিধি অনুসরণ করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় ওমিক্রন হানা দেওয়ায় ফরে পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে হবে দেশবাসীকে।