এক নামে বিপত্তি, দোষ না করেও রাত কাটাতে হল শ্রীঘরে
কথায় আছে নামে কী বা আসে যায়। কিন্তু নামেও আসে যায়। এই নামের ফেরেই দোষ না করেও শ্রীঘরে ঠাঁই হল হাওড়ার বাগনানের এক যুবকের।
হাওড়া, ৩১ মার্চ : কথায় আছে নামে কী বা আসে যায়। কিন্তু নামেও আসে যায়। এই নামের ফেরেই দোষ না করেও শ্রীঘরে ঠাঁই হল হাওড়ার বাগনানের এক যুবকের। উঠতে হল কাঠগড়াতেও, তবে ভুল বুঝতে পেরে অব্যহতি মিলল অবশেষে। জামিন পেলেন নিরপরাধ যুবক।
এক নাম, এক ঠিকানা, এক পেশা। তাই ভুল করে তাঁকে তুলে এনেছিল পুলিশ। ভুল ভাঙতে বেস দেরি হল। ভাগ্যিস ভুল ভাঙল, না হলে দোষ না করে নির্দোষ প্রসেনজিৎ রক্ষিতকেই সাজা পেতে হত। পেশায় ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ বাড়ি ফেরার সময় বাগনান থানা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এরপর ভাইকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে শুনে দাদা সুব্রত রক্ষিত ছোটেন থানায়। তাঁকে জানানো হয়নি কী কারণে তংআকে আটকে রাখা হয়েছে হাজতে। আদালতে পেশ করার পর ভুল ভাঙে। যে প্রসেনজিৎ রক্ষিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে ধৃত প্রসেনজিৎ রক্ষিতের কোনও মিল নেই। তারপরই ধৃতের জামিন মঞ্জুর করে দেন বিচারক। পুলিশকে তিরষ্কৃতও করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে প্রসেনজিৎ রক্ষিতের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার জামিনও পায় প্রসেনজিৎ। এখন সে বাগনানে থাকে না, থাকে কলকাতায়। তবু কেন এত বড় ভুল হল পুলিশের, উত্তর নেই যথাযথ। ধৃত প্রসেনজিৎ বলেন, আমাকে কেন ধরে নিয়ে যাওয়া হল, তা বুঝতেই পারছিলাম না। বারবার বলতে চেয়েছি নির্দোষ। উলটে আমাকে ভয় দেখানো হয়। প্রসেনজিতের পরিবার এখন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে।