নোটের গেরোয় ফুলচাষিরা বিপণ্ণ, কোলাঘাটের ফুলবাজারে ব্যবসা কমেছে ৮০ শতাংশ
৪৮ ঘণ্টা পর অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নিল খড়গপুর আইআইটি-র গবেষক ছাত্ররা। কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে আশ্বাস পেয়ে তাঁরা অবস্থান তুলে নিতে মনস্থ করে। আজই খড়গপুর আইআইটিতে বসছে জরুরি বৈঠক।
কোলাঘাট, ২২ ডিসেম্বর : নোটের গেরোয় ফুল চাষিদের মাথায় হাত। কয়েক হাজার ফুল ব্যবসায়ী ও ফুল চাষিরা পথে বসেছে। ২ হাজার টাকার নোট চালু হয়েছে বটে কিন্তু ব্যবসায়ীদের হাতে উপযুক্ত টাকা না থাকায় কেনাকাটা করতে পারছেন না। তার প্রভাব পড়েছে সমস্ত ফুলবাজারেই। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বড় ফুল মার্কেট কোলাঘাট ফুল বাজারে ব্যবস কমেছে ৮০ শতাংশ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয় কোলাঘাট এলাকায়। এছাড়া কাঁথি, এগরা, হেঁড়িয়া, রামনগর ও কোনও কোনও জায়গাতেও ফুলের চাষ হয়। ফুলের মরশুম চললেও বাজারে ব্যবসায়ীদের ভিড় নেই নোটের গেরোয়। ফলে চাষিদের মাথায় হাত। এদিকে ফুল ব্যবসায়ীদের কথায়, নোট সমস্যার কারণে বেশি ফুল কেনা যাচ্ছে না।
কোলাঘাট, ঘোড়াঘাটার ফুল ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয় নাথ, দেবাংশু দাসরা বলেন, ফুল বাজারে আগে লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি হত। নোট বাতিলের ফলে ফুল কেনার জন্য কেউ আসছে না। বাধ্য হয়ে তাঁরা রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে্ ফুল ফেলে দিচ্ছেন। ফুল এখন গরু ছাগলের খাবার হয়ে গেছে নোটের ধাক্কায়।
রামনগরের ফুল ব্যবসায়ী বামশংকর দাস বলেন, গত ১৫ দিন ধরে তার দোকানে বিক্রি হয়েছে মাত্র তিন হাজার টাকার ফুল। অথচ প্রত্যেকদিন তাঁর দোকানে বিক্রি হত ৫-৬ হাজার টাকার ফুল।
এগরার ফুল ব্যবসায়ী হরি খাটুয়া বলেন, কাঁথির সুপার মার্কেটে প্রত্যেকদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি বত, সেখানে এখন গড় বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা। এভাবে কতদিন চলবে তাঁরা জানেন না। নোটের এই আকাল দশা থেকে কবে তাঁদের মুক্তি মিলবে জানেন না ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা।