অবিরাম বৃষ্টিতে ভুটান পাহাড়ের নদীতে হড়পা বান, বন্যা পরিস্থিতি! ধসে বিধ্বস্ত সিকিম-কালিম্পং
টানা মুষলধারে বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল ভারত-ভুটান সমান্তে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নদীর জল বাড়তে শুরু করেছিল। ধস নামতে শুরু করেছিল পাহাড়ি এলাকায়।
টানা মুষলধারে বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল ভারত-ভুটান সমান্তে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নদীর জল বাড়তে শুরু করেছিল। ধস নামতে শুরু করেছিল পাহাড়ি এলাকায়। প্রবল জলস্রোতে ভারত-ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা রাস্তাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জয়গাঁওয়ের কাছে ভুটান সীমান্তের ঝরনা বস্তি এলাকা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
হড়পা বানে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা
গত কয়েকদিন ধরেই ভুটান পাহাড় এবং সিকিম পাহাড়ে মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে চলছে। ফলে ভুটান পাহাড় থেকে বয়ে আসা ঝরনার জলে বন্যার কবলে পড়ে ওই বস্তি এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় নদী বাঁধ। মঙ্গলবার বিকেল থেকে নদীর জল বাড়তে থাকায় আতঙ্ক গ্রাস করে স্থানীয় মানুষজনের মনে। বাঁধে ধস নামছে, রাস্তাও ধসে যাচ্ছে, এর ফলে হড়পা বানে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাহাড়ি নদীর স্রোতের মুখে বিধ্বস্ত বাঁধ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ি নদীর ব্যাপক স্রোতের মুখে একের পর এক বাঁধ ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। এলাকার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তার ফলে আতঙ্কিত গ্রামবাসী। শুধু ভুটান পাহাড়ের পাশাপাশি ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং মালবাজারেও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিপর্যস্ত জেলা ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির জনজীবন।
গ্রামকে মুখে করে নিয়ে যাবে হড়পা বান
এই অবস্থায় প্রশাসনিক তৎপরতা বেড়েছে। জল যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারে তার জন্য প্রতিটি নালার মুখ পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। জল কোনওভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলেই খরস্রোতা নদীর জলের তোড়ে ভেসে যাবে এলাকা। গ্রামে ঢুকে পড়বে জল। গ্রামের পর গ্রামকে মুখে করে নিয়ে যাবে হড়পা বান।
বাগরাকোট থেকে সিকিমগামী জাতীয় সড়কে ধস
শুধু ভুটান লাগোয়া জয়গাঁওয়ের রাস্তাঘাটই নয়, প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে বাগরাকোট থেকে সিকিমগামী জাতীয় সড়কে। গত দু-তিনদিন ধরে কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকায় একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তার জেরে ধস নেমেছে ওই জাতীয় সড়কে। শুরু হয়েছে ধস সারানোর কাজ। এই ধসের জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইয়েলবং, চুইখিম, বরবট, নিমবং-সহ একাধিক পাহাড়ি গ্রামে।
কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকাতেও ধস নামছে
কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকাতেও একটানা বৃষ্টির জেরে ধস নামতে শুরু করেছে। ওদলাবাড়ি থেকে নাথুলা সীমান্তে যাওয়ার জন্য নতুন করে তৈরি হওয়া ৬১ কিলোমিটার রাস্তায় ধস নামে। ওই জাতীয় সড়ক ধরে ৯ কিলোমিটার এগোলেই পড়বে পাহাড়ি গ্রাম ইয়েলবং। গত কয়েক বছর ধরেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তার হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ওই গ্রামে যেতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। সেই গ্রামের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
আর কিছুদিন পর রাজকুমার বুধের গোচর, প্রচুর অর্থলাভ হতে চলেছে এই রাশিদের