অসম লড়াইয়ে বাঘিনীকে মাত দিলেন সুন্দরবনের নিতাই
একেবারে বাঘে খপ্পরে পড়া যাকে বলে আর কি! একটু শুধরে বললে বাঘিনী। সুন্দরবনের মানুষ যার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন, সেই প্রাণীটির সঙ্গে অসম লড়াই করেও প্রাণে বেঁচে ফিরলেন এক মৎস্যজীবী।
সুন্দরবন, ২১ অক্টোবর : একেবারে বাঘে খপ্পরে পড়া যাকে বলে আর কি! একটু শুধরে বললে বাঘিনী। সুন্দরবনের মানুষ যার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন, সেই প্রাণীটির সঙ্গে অসম লড়াই করেও প্রাণে বেঁচে ফিরলেন এক মৎস্যজীবী। [হারিয়ে যাওয়া বাঘ খুঁজবে সিবিআই?]
ঘটনা হল, নিতাই বর ও আরও চারজন মিলে কয়েকদিন আগে নৌকায় চেপে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। বড় শ্যামনগরের বাসিন্দা নিতাইয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ভাই জয়দেব ও জগন্নাথ। আর দুই প্রতিবেশী যুবক। [খুনের দায়ে 'মানুষখেকো বাঘ']
কলস নদীতে মাছ ধরতে ধরতে নিতাইরা একেবারে গহন অরণ্যের ভিতর নদীতে ঢুকে গিয়েছিলেন। নদীর ধারে জাল ফেলাটা ঠিকঠাক হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারে নামলেই নিতাইকে আক্রমণ করে বসে এক বাঘিনী। [বাঘের তাড়া খেলেন 'বিগ বি'!]
হঠাৎ করে সামনের একটি গাছের উপর থেকে লাফ দিয়ে নিতাইয়ের সামনে এসে পড়ে। ঘটনা আন্দাজ করেই সঙ্গে সঙ্গে মাটি থেকে বাঁশের টুকরো তুলে নেন নিতাই। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট নিজেকে রক্ষা করার পরে সেখানে এসে পড়েন তাঁর ভাই ও অন্য সঙ্গীরা। [বাঘকে সরিয়ে সিংহকে জাতীয় পশুর মর্যাদা কেন্দ্রের!]
বাঘিনী শেষপর্যন্ত নিতাইকে প্রাণে মারতে না পারলেও ডান হাতে থাবা বসিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে গিয়েছে। বাকীরা জানিয়েছেন, নিতাইকে রক্ষা করতে এসে সকলে মিলে বাঘিনীকে মারতে শুরু করেন। পালিয়ে যাওয়ার আগে নিতাইয়ের ডান হাতটা যখম করে দিয়ে গিয়েছে বাঘিনী।
বনদফতরের তরফে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন অভয়ারণ্যের যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। সেই জায়গাতেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন নিতাইরা। যার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।