সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত ‘ফেনি’ ফুঁসছে সাগরে, বাংলায় দুদিন ধরে চলবে তাণ্ডব
সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে ‘ফেনি’। অভিমুখ বদল করেই গতি বাড়িয়েছে। সুপার সাইক্লোনের তাণ্ডবে সমুদ্র ফুঁসছে, ঝড় ধেয়ে আসছে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে।
সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে 'ফেনি'। অভিমুখ বদল করেই গতি বাড়িয়েছে। সুপার সাইক্লোনের তাণ্ডবে সমুদ্র ফুঁসছে, ঝড় ধেয়ে আসছে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। তারপরই ধাক্কা খেয়ে বাঁক নেবে বাংলার দিকে। 'তিতলি'র থেকেও শক্তিশালী এই সুপার সাইক্লোনের জেরে ৮ জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সুপার সাইক্লোন ফেনি কলকাতা থেকে ১১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। পুরী থেকে দূরত্ব ৮৩০ কিলোমিটার। ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বাংলার দিকে ধেয়ে যাবে। তাই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০০ কিমি বেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ফেনির। তারপর পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে তা ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। ৩ মে অর্থাৎ শনিবার ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ৪ মে অর্থাৎ রবিবার ফেনির গতিবেগ হবে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।
একইসঙ্গে আবহবিদরা জানিয়েছে, স্থলভাগে ফেনির গতিবেগ থাকবে ৫০ কিলোমিটার। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে। বৃহস্পতিবার মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। শনিবার গতিবেগ বাড়বে ঝড়ের, বৃষ্টিও হরবে মাঝারি।
বুধবার থেকেই উত্তাল সমুদ্র। আবহাওয়া দফতরের বিশেষজ্ঞদের কথায়, বুধবার থেকেই সমুদ্রে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে ফেনি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তার জেরে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন মাছ ধরতে, তাঁদের ১ মে অর্থাৎ বুধবারের মধ্যে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।