উলুবেড়িয়ার ব্যাঙ্ককর্মীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিশে অনাস্থা পরিবারের, সিবিআই দাবি
হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ব্যাঙ্ককর্মীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করল পরিবার। তাঁদের অভিযোগ এক সপ্তাহ কাটতে চলল তবু তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। পুলিশ একপ্রকার নিষ্ক্রিয়।
উলুবেড়িয়া, ১৬ ফেব্রুয়ারি : হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ব্যাঙ্ককর্মীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করল পরিবার। তাঁদের অভিযোগ এক সপ্তাহ কাটতে চলল তবু তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। পুলিশ একপ্রকার নিষ্ক্রিয়। পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করেই ব্যাঙ্ককর্মী রজত চৌধুরীর পরিবারের তরফে এই দাবি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রজত চৌধুরীকে খুন করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া থানায় বাঙ্কের ম্যানেজার, ক্যাশিয়ার ও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রজত চৌধুরীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ। একেবারে সমস্ত তথ্য-প্রমাণাদি হাতে নিয়েই গ্রেফতারের পথে নামতে চাইছেন তদন্তকারীরা। রেল পুলিশ যেমন তদন্ত করছে, উলুবেড়িয়া থানা পুলিশও এই ঘটনায় সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে। শীঘ্রই এই ঘটনার কিনারা করা হবে। নোট বাতিল হওয়ার পর যাবতীয় লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও ফুলেশ্বর স্টেশনের মাঝে লতিবপুরের সামনে রেল লাইনের ধার থেকে ওই ব্যাঙ্ককর্মীর দেহ উদ্ধার হয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী রজত চৌধুরী মৃত্যুর আগে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুইসাইড নোট পোস্ট করেন। যদিও ওউ পোস্টটি অন্য কেউ করেছে বলেছে পরিবারের দাবি। তার কারণ সোশ্যাল মিডিয়া সম্বন্ধে খুব একটা ধারণা ছিল না রজতবাবু।
এছাড়া রজতবাবু পায়ে চোট ছিল। সেই অবস্থায় তার পক্ষে আড়াই কিলমিটার হেঁটে গিয়ে রেললাইনে আত্মহত্যা করা একপ্রকার অসম্ভব ছিল। পরিবারের অভিযোগ তাঁকে ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রজতবাবু বাইক ছাড়া এক পা চলতেন না। কারণ ওই পায়ের চোট। অথচ ওইদিন তাঁর বাইকটি উদ্ধার হল ব্যাঙ্কের সামনে থেকে। আর দেহ পাওয়া গেল আড়াই কিলোমিটার দূরে রেল লাইনে। এখানেই রহস্য ঘনীভূত। একটি ফেন আসার পরই রজতবাবু বেরিয়ে গিয়েছিল বাড়ি থেকে। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে না, ওটি কার ফোন ছিল।
ফেসবুক অ্যকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছিল- টাকা বদলের সময় তাঁকে অবৈধ লেনদেনে বাধ্য করা হয়। আর এই কাজ করতে তাঁকে বাধ্য করেন দুই স্থানীয় ব্যবসায়ী। ব্যাঙ্কের অনেক কর্মী-অফিসারও তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ রজতের পরিবারের। সোমনাথ ঘোষ ও অমিত নায়েক নামে দু'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছোড়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ।