বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতির মৃত্যু , চাঞ্চল্য ঝাড়গ্রামে
বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতির মৃত্যু কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লক-এর পাথরা অঞ্চলের নিশ্চিন্তার জঙ্গলে। ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বনদপ্তর এর ভূমিকা নিয়ে। কখনো রেললাইন পেরোতে গিয়ে, কখনো বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে, কখনো কুঁয়া তে পড়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যার ফলে বন দফতরের বিরুদ্ধে ওই এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন।
জানা গিয়েছে, একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতিকে সোমবার মৃত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর এই খবর ছড়াতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করে বন দফতরকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত একটি গাছের ডাল ভাঙতে গিয়ে হাতিটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে মারা যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়। খড়গপুর বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে মৃত হাতিটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী কারণে ওই হাতিটি মারা গিয়েছে। তবে ওই হাতিটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই এলাকার বাসিন্দারা ধূপ জ্বালিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে হাতিটিকে পুজো করে।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জঙ্গলমহল জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। তা সত্বেও বনদপ্তর এর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। জঙ্গলমহলের মানুষ আজও হাতিকে দেবতারূপে পুজো করেন। তাই হাতির অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামবাসীরা ফুলের মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায় এবং ধূপ জ্বালিয়ে পুজো করে প্রণাম করে। একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পড়েছে বন দফতর।