নাতির লাথি ঠাকুরমাকে! মর্মান্তিক পরিণতির জেরে উত্তেজনা রায়গঞ্জে
নাতি আর নাতবৌয়ের ঝামেলা থামাতে গিয়েছিলেন ঠাকুমা। ঝামেলার মধ্যে নাতির লাথির জেরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ঠাকুরমার। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায়। মৃতা বৃদ্ধার নাম রেখারাণী দাস ( ৮০) । পারিবারিক বিবাদ মেটাতে গিয়ে ঠাকুরমার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । অভিযুক্ত নাতি প্রদীপ দাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা রেখারাণী দাস পুত্রবধূ, নাতি ও নাতবৌ নিয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেখার নাতি প্রদীপ দাসের সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এদিনও তাদের সাংসারিক বিবাদ চরমে ওঠে ৷ সেই সময় ঠাকুরমা রেখা তাদের গন্ডগোল মেটাতে সেখানে যান। নাতি প্রদীপ দাস আচমকাই রেখারাণীকে লক্ষ্য করে লাথি মারে। ছিটকে পড়ে গিয়ে রেখারাণী দাস গুরুতর জখম হন৷ ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা রেখারাণী দাসকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
রেখারাণী দাসের মৃত্যুর খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দেবীনগর এলাকায়। বিপুল সরকার নামে রেখারাণী দাসের এক আত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, রেখারাণী দাসের নাতি প্রদীপ দাস এবং তাঁর স্ত্রী শিবানী দাসের মধ্যে খুবই গণ্ডগোল চলছিল। সেই গণ্ডগোল থামাতে গিয়েই প্রাণ গেল ওই বৃদ্ধার।
ইতিমধ্যেই রেখারাণী দাসের নাতি প্রদীপ দাস, নাতবৌ শিবানী দাস ও বৌমা উমা দাসের নামে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।