বাঙাল-ঘটি লড়াই ছাপিয়ে সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় একসুরে বাঁধা পড়ল কলকাতা ডার্বির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা
বাঙাল-ঘটি লড়াই ছাপিয়ে একসুরে বাঁধা পড়ল কলকাতা ডার্বি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা
সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় মিলে গিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী গঙ্গাপারের দুই ক্লাব। যেই দৃশ্য বাংলার ফুটবল কোনও দিন দেখবে বলে ভাবতেও পারেনি, তাই হল দুই দিন আগের কলকাতা ডার্বিতে। গতবছর সিএএ আসার পর থেকেই বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে সারা দেশ। সেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলিও একে অপরের সঙ্গে মিলে বিজেপি ও সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। কেরলে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনার পক্ষে ভওট দিতে দেখা গিয়ে সেই রাজ্যের রাজনীতিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বাম ও কংগ্রেসকেও। সেই দৃশ্যই দেখা গেল ১৯ জানুয়ারির ডার্বি ম্যাচে।
একসুরে প্রতিবাদ
রবিবারের বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল হেরেছে মোহনবাগানের কাছে। তবে ডার্বিতে গ্যালারিতে সেভাবে দেখা গেল না বিরোধী ক্লাব বিরোধী পোস্টার। বরং যেটা দেখা গেল, তা হল এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রাজনীতির ময়দানের মতো খেলার ময়দানেও যেন চির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাপিয়ে একসুরে বাঁধা পড়ল এনআরসি-বিরোধিতা।
'রক্ত দিয়ে কেনা মাটি, কাগজ দিয়ে নয়'
সল্টলেকের জমজমাট গ্যালারিতে আচমকাই দেখা মিলল এক প্রকাণ্ড ব্যানারের। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে ঝোলানো সেই অতিকায় ব্যানারে লেখা 'রক্ত দিয়ে কেনা মাটি, কাগজ দিয়ে নয়।' আদতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান লড়াই তো সের্ফ ফুটবলের লড়াই নয়, এটি বনাম ঘটি দ্বৈরথ। তবে গত রবিবারের ম্যাচে কোনও দ্বন্দ্ব নজরে আসেনি সমর্থকদের মাঝে।
'প্রিয় সন্তানরা, আমাদের দেশে স্বাগত'
বরাবরই ডার্বির সময় গ্যালারিতে দেখা যায়, একে অপরকে কটাক্ষ করা ব্যানার ঝুলছে। কিন্তু রবিবারের বিকেলটাই যেন অন্য রকম। একটি ব্যানারে লেখা ছিল, 'প্রিয় সন্তানরা, আমাদের দেশে স্বাগত'। এই ব্যানার ঝুলছিল মোহনবাগান গ্যালারি থেকে। ব্যানারের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, সেখানে পূর্ববঙ্গের বাসিন্দাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। এছাড়াও গ্যালারিতে অনেকেরই হাতে ছিল ভারতের পতাকা। দেশের পতাকা হাতে মাঠে আসা যেন এক তীব্র বার্তারই সংকেত দিচ্ছিল।