ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল! নিরাপদের খোঁজে হুড়োহুড়ি, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ
একে রক্ষে নেই আবার ভুমিকম্প! কেঁপে উঠল বাংলার বিস্তির্ন অঞ্চল। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার, ধুপগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একটা বিশাল অংশ জুড়ে কম্পন অনুভুত। হঠাত করে ভর সন্ধ্যায় এহেন কম্পনে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই
একে রক্ষে নেই আবার ভুমিকম্প! কেঁপে উঠল বাংলার বিস্তির্ন অঞ্চল। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার, ধুপগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একটা বিশাল অংশ জুড়ে কম্পন অনুভুত। হঠাত করে ভর সন্ধ্যায় এহেন কম্পনে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আতঙ্কে নিরাপদে যাওয়ার জন্যে ছোটাছুটি শুরু করে দেন বলে খবর।
যদিও ভুমিকম্পের পর এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনও ক্ষয়ক্ষতিরও খবর সামনে আসেনি। তবে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন আধিকারিকরা।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪ এর বেশি
উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতে ভুমিকম্পের প্রভাব দেখা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঠিক ৮ টা ২২ নাগাদ এই কম্পন অনুভুত হয়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্যেই স্থায়ী হয় কম্পন। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জানা যাচ্ছে কম্পনের উতস্যস্থল ছিল এদিন ভুটানের থিম্পু। উৎসস্থলের গভীরতা ভুপৃষ্ট থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার গভীরে। ফলে ভালভাবেই দিন কম্পন অনুভুত হয়।
উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কম্পন অনুভুত
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বাংলা। ঘর বন্দি মানুষ। আর এর মধ্যেই হঠাত কম্পন। রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, ধুপগুড়ি সহ এলাধিক জেলাতে এই কপম্পন অনুভুত হয়েছে। টের পাওয়া গিয়েছে ডুর্্যার্স সহ বিস্তীর্ন অঞ্চলে। এভাবে হঠাত দুলতে থাকায় অনেকেই রাস্তায় নেমে আসেন। কেউ কেউ আবার রাস্তায় নেমে আবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করে দেন।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পাওয়া যায়নি
কম্পন অনুভুত হলেও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি হতাহতেরও খবর নেই। তবে প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ঘরে বসেছিলাম। হঠাত করেই ঘরের বন্ধ পাখা দুলতে থাকে। যে চেয়ারে বসেছিলাম সেটাই রীতিমত কাঁপতে থাকে। তখনই বুঝতে পারি ভূমিকম্প হচ্ছে। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসি। আফটার শকের আতঙ্কে রয়েছি বলে দাবি ওই বাসিন্দার।
গত বছর একই ভাবে কম্পন অনুভুত হয় উত্তরে
গত বছর এপ্রিল মাসে উত্তরবঙ্গের (north bengal) বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়। একই ভাবে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। সকাল ৭.৫১ নাগাদ এই কল্পন অনুভূত হয়। বেশ কিছুক্ষণ স্থায়ী হয় এই কম্পন। তাতে বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভেঙে পড়ে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি কম্পনের সাক্ষী থেকেছে বাংলার মানুষ। যদিও সবকটাই মৃদু। ফলে বড়সর কোনও অঘটন ঘটেনি। এবারও তেমন কোনও বড় অঘটনের খবর নেই।