স্বপ্নে দেখা দেননি মা দুর্গা, ১৬ বছর বন্ধ পুজো, উমার পথ চেয়ে আজও সহিস পরিবার
১৬ বছর ধরে স্বপ্নে দেখা দেননি দেবী দুর্গা। তাই তাঁর পুজোও হয়নি। আবার যেদিন স্বপ্নে দেখা দেবেন, সেদিন পুজো পাবেন মা। এমনই রীতি বাঁকুড়ার রানিবাঁধের সহিস পরিবারে।
১৬ বছর ধরে স্বপ্নে দেখা দেননি দেবী দুর্গা। তাই তাঁর পুজোও হয়নি। আবার যেদিন স্বপ্নে দেখা দেবেন, সেদিন পুজো পাবেন মা। এমনই রীতি বাঁকুড়ার রানিবাঁধের সহিস পরিবারে। স্বপ্নে দেবীর আগমন না হলে অকালবোধনও হয় না তাঁর। এ পুজোর ছত্রে ছত্রে লেখা সেই রূপকথা। মা স্বপ্নে দেখা না দেওয়ায় সহিস পরিবার আজও অধীর অপেক্ষায়- কবে ঘরে আসবেন উমা!
বাঁকুড়ার রানিবাঁধের সহিস পরিবারের দুর্গাপুজো নিয়ে নানা কল্পকথা রয়েছে। স্বপ্নের মায়াজাল মেশানো এই পুজোকে ঘিরে উন্মাদনাও কম ছিল না। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোয় ইতি হয়ে যায় মাঝমধ্যেই। যখনই স্বপ্ন হারিয়ে যায়, তখনই ইতি। ছেদ পড়ে যায় পুজোয়, ছেদ উন্মাদনায়। সেই স্ব্প্নের স্মৃতি নিয়ে এবারও তাই উচ্ছ্বাসহীন রইল বাঁকুড়ার সহিস পরিবার।
টিনের ছাউনির মন্দিরে পুজো হত। এই পরিবারেরই পূর্বপুরুষ রথু সহিস পুজোর প্রচলন করেছিলেন। স্বপ্ন দেখার ঐতিহ্য নিয়ে ৯০ বছর পুজো হয়েছে। এবার নিয়ে শেষ ১৬ বছর পুজো হচ্ছে না। ১৬ বছর ধরে দেবী স্বপ্নে দেখা দেননি। এ বাড়িতে স্বপ্নে দেখা পুজোর রীতি আবহমানকাল ধরে চলে আসছে।
এ বাড়ির বর্তমান সদস্য জানান, বরাবরের এই রীতি কি ভাঙা এতই সহজ। কেউ সাহসই করেন না, তা ভাঙতে। কঠোর নিষেধ করে গিয়েছিলেন বাবা। বলেছিলেন, দেবী যদি স্বপ্নে দেখা দেন তবেই পুজো করবি, না হলে ঘোর অমঙ্গল হবে। তাই সেই বার্তা অমান্য করার সাহস কার আছে!
তিনি বলেন, মা দুর্গার আরাধনা তো আর নিজেদের ইচ্ছাখুশি করা যায় না। বাড়ির মঙ্গল-অমঙ্গল জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। তাই ১৬ বছর মায়ের আরাধনা বন্ধ। মা যেদিন আবার পুজো চাইবেন, স্বপ্নে দেখা দেবেন, সেদিন হবে পুজো। ততদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের।