পাড়ুই মামলায় সিবিআই নয়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের পাড়ুই গ্রামে খুন হন নির্দল প্রার্থী সাগর ঘোষ। ঠিক তার আগে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, নির্দলদের বোমা মারুন। ওদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিন। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল এ কথা বলার পরই হামলা হয়। রাজ্য সরকার তার পর থেকেই অভিযুক্তদের আড়াল করতে চেষ্টা করেছে। এমনকী, অনুব্রত মণ্ডল সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষকে হুমকি দিলেও পুলিশ কিচ্ছুটি করেনি। পুলিশ ঠিকঠাক তদন্ত করছে না, এই নালিশ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হৃদয় ঘোষ।
প্রথমে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে মামলাটি ওঠে। পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে শুনানি শুরু হয়। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আদালতে ডেকে পাঠিয়ে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি। ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বুধবার বিচারপতি ঈশানচন্দ্র দাশ ও বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের বিষয়টি খারিজ করে দেন। তাঁরা বলেন, রাজনীতিক কারণে পুলিশ কাউকে কাউকে আড়াল করেছে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সপক্ষে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। আর তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কোনও ভিত্তি নেই।
হৃদয় ঘোষের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহ রায় বলেন, "মাননীয় বিচারপতিরা রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা রেখেছেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশ কখনও ঠিকঠাক তদন্ত করেনি। তাই আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি ন্যায়বিচার পেতে।"