হরিপালে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে আসছেন বিক্ষুব্ধরা
হরিপালে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। হরিপালের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে মুজফফর আলি ওরফে মাজার সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এর আগে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই বিরোধ মেটাতে পারেননি। এই সুযোগকেই এ বার কাজে লাগিয়ে সেখানে দলের সংগঠন বাড়াতে চায় বিজেপি।
রবিবার হরিপালের চৌতারা দীঘিরপাড় এলাকায় একটি জনসভা করবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তাঁর উপস্থিতিতেই বিজেপিতে যোগ দেবেন মুজফফর আলি ও তাঁর অনুগামীরা। এ ছাড়া কিছু সিপিএম কর্মীও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে খবর। বিজেপির হরিপাল মণ্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কানার বলেন, "আমাদের দল হরিপালে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্বজনপোষণ ও দুর্নীতিতে সাধারণ মানুষ বীতশ্রদ্ধ। কর্মীরাও হতাশ। তাই এলাকায় ১০ হাজার তৃণমূল কর্মী আমাদের দলে নাম লেখাচ্ছেন।"
আর বিদ্রোহী মুজফফর আলির বক্তব্য, "এক সময় সিপিএমের হাতে মার খেয়েছি। এখন দেখছি, সিপিএমের লোকেরাই তৃণমূলকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কেন অপমান সহ্য করে তৃণমূলে থাকব? তাই অপমানের বদলা নিতে বিজেপিতে যাচ্ছি।"
বেচারাম মান্না অবশ্য দাবি করেছেন, "মাজা আমাদের দলের কেউ নয়। ওর কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা অটুট রয়েছে। আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না।"