লন্ডন কিংবা সুইৎজারল্যান্ড নয়, চাই সোনার বাংলা! হাসপাতালের বেড নিয়ে ভুয়ো তথ্য, বিস্ফোরক দিলীপ
লন্ডন কিংবা সুইৎজারল্যান্ড নয়, চাই সোনার বাংলা! হাসপাতালের বেড নিয়ে ভুয়ো তথ্য, বিস্ফোরক দিলীপ
ভার্চুয়াল সভা দিয়ে শুরুটা করেছিলেন অমিত শাহ। তারপর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হোক কিংবা রাজ্যের নেতারা ভার্চুয়াল সভা চলছেই। এরকমই এক সভা থেকে সরকার বদলের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
চাই সোনার বাংলা
দিলীপ ঘোষ বলেন, তারা লন্ডন চান না, সুইৎজারল্যান্ড চান না, কিংবা গোয়াও চান না। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা বানাতে চান। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে কলকাতাকে লন্ডন, দার্জিলিংকে সুইৎজারল্যান্ড আর দিঘাকে গোয়া বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৎকালীন তৃণমূল নেত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের রেশনে লুটের অভিযোগ
দিলীপ ঘোষ বলেন, যখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে, যখন মানুষ হাহাকার করথে খাওয়ার জন্য, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার ৩ মাসের জন্য চাল, ডাল, গম দিয়েছে। যাতে মানুষ খেয়ে থাকতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্য। সেই রেশনও পৌঁছচ্ছে না। ডিলারের কাছ থেকেই রেশন লুট হয়ে যাচ্ছে। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, হাজার, হাজার মানুষ এখনও রেশন পাননি।
হাসপাতালের বেড নিয়ে ভুয়ো তথ্য
দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বেড নিয়ে ভুয়ো সতথ্য দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালগুলিতে কত বেড খালি রয়েছে, তার একটা হিসেব দেওয়া হয়। তিনি বলেন, যেখানে বলা হচ্ছে ৫০০ বেড খালি আছে, সেখানে ফোন করে জানা গিয়েছে, একটাও বেড খালি নেই। সেই হাসপাতালে কোনও বেড তৈরিই হয়নি। তাঁর অভিযোগ এখনও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। হাজার, হাজার স্যাম্পেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনও সময় বলা হচ্ছে ৩ লক্ষের স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার ফল কী কেউ জানেন না। এর মধ্যে কারও সংক্রমণ হলে তিনিও জানতে পারছেন না। ফলে তিনি চার জায়গায় ঘুরে সংক্রমণ করছেন।
সিঙ্গুর ও বেঙ্গল সামিট নিয়ে কটাক্ষ
সিঙ্গুরে শিল্পে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছাড়াও বেঙ্গল সামিট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, প্রতি বছর রাজ্যে বিজনেস সামিট করা হচ্ছে, কারা করছে যারা সিঙ্গুরে চাচাদের কারখানা বন্ধ করেছিল। তিনি বলেন, যারা টাটাদের কারখানা বন্ধ করে বিজনেস সামিট করে, সেখানে কি কোনও ভদ্রলোক আসবে। তিনি বলেন, যেখানে একটা ইট গাঁথতে গেলে কাটমানি দিতে হয়, সেখানে কোন শিল্পপতি আসবে। সেই জন্য সামিট হলেও কোনও বিনিয়োগ হয় না। খালি ধোঁকাবাজি করা হয়।
মমতার রাজত্বকে সরাসরি হিটলারের সঙ্গে তুলনা টানলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান