মমতায় সহমত দিলীপও, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি
এর আগে বিরোধীরা এত আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। এবার তা করে দেখাল বিজেপি। একেবারেই অভূতপূর্ব ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ইস্যুতে বিজেপির অন্দরেই ভিন্নসুর উঠে গেল। যখন মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, তখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁরা ৩৫ হাজার আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছেন। এর আগে বিরোধীরা এত আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। এবার তা করে দেখাল বিজেপি। একেবারেই অভূতপূর্ব ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে। মানুষ প্রমাণ করেছে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন। পঞ্চায়েত ভোট হলেই আরও পরিষ্কার হবে এই সমর্থনের চিত্রটা।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যে রাজ্যে যে বিতর্কের ঢেউ উঠেছে, তা আপাতত স্তিমিত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছেন। কারণ বিরোধীরা ইতিমধ্যে ৫৮ হাজার আসনে ৭৪ হাজার প্রার্থী দিয়েছেন। এই হিসেবে সঙ্গে নির্দল প্রার্থীদের ধরলে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৯০ হাজারে পৌঁছবে। তিনি অভিযোগ করেন, আসলে বহু আসনেই বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস মিলিত হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ দিলীপবাবুর দেওয়া তথ্যও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন-দাবির সঙ্গে মিলে গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতির দেওয়া পরিসংখ্যান। দিলীপবাবু জানান, তাঁরা প্রায় ৩৫ হাজার আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছেন। তৃণমূলী সন্ত্রাস উড়িয়েই তাঁরা এই বিপুল আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন বিরোধীরা ৫১ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। বাকি আসনে বিরোধীদের কোনও সংগঠন নেই, তাই প্রার্থী দিতে পারেনি।
তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, যেখানে বিজেপির সংগঠন রয়েছে, প্রার্থী দিতে পেরেছ, সেখানে কোনও ঝামেলা হয়নি। যেখানে বিজেপির সংগঠন নেই, প্রার্থী দিতে পারেনি, সেখানেই ঝামেলা হয়েছে। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে বিরোধীরা বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে কুৎসা-অপপ্রচার চলছে। তারপর বিজেপি রাজ্য সভাপতিও স্বীকার করে নিলেন তাঁরা প্রায় ৬০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছেন।