দেশপ্রেমিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা, বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার মামলা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
দেশপ্রেমিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা, বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার মামলা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
বিজেপির (bjp) নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার মামলা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সরকার। কিন্তু লুঙ্গি বাহিনী যখন প্রকাশ্যে সিএএ নিয়ে আগুন জ্বালানো, বাস, স্টেশন জ্বালানো সেই সময় একটাও এফআইআর (fir) করার সাহস হয়নি। এইভাষাতেই বিশ্ব যোগ দিবসের সকালে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির (bjp) সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)।
দেশপ্রেমিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা
এদিন সকালে মালদহের পুড়াটলি বাঁধরোড এলাকায় বিজেপির কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে রাজ্যে আগুন জ্বলল। ট্রেন থেকে বাস, রেল স্টেশন জ্বালানো হল, রেললাইন উপড়ে ফেলা হল, সেই সময় কোনও এফআইআর করতে পারল না রাজ্য সরকার। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তৃণমূল রাজ্যে দেশদ্রোহীদের থাকার জায়গা করে দেয় আর পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। কিন্তু দেশপ্রেমিকদের কণ্ঠরোধ করে তারা। তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েকবছরে তৃণমূল সরকার রাজ্যের বিজেপি নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ হাজার মামলা করেছে।
বিদেশি নাগরিক পার্টির পদাধিকারী
দিলীপ ঘোষের কথায় এদিন উঠে আসে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের নামও। কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যএ শুধু দেশদ্রোহীদের আশ্রয় দেওয়াই নয়, বিদেশের নাগরিকও এই দলের পদাধিকারী। রাজ্য সরকার এই অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকারের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকারের দায়িত্ব পালনের কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
উগ্রপন্থীদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
মালদহের কালিয়াচকে বাড়ির ছেলে বাবা-মা-বোন-ঠাকুরমাকে খুন করেছে। বাড়িতে সুরঙ্গও রয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেছেন, উগ্রপন্থীদের রাজ্য হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সরকার সব জানে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যে নাশকতার জন্য সংগঠন তৈরি করা হলেও, সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
চাপ নিতে না পেরে দলবদল
এদিনও কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলের অনেক কর্মী-নেতা তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করতে না পারছেন না। তাঁরা ভয়ের পরিবেশ থেকে পালাতে চাইছেন। দু-চারজন চাপ নিতে না পেরে অন্যদলে চলে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজে তোড়জোড়, কুণাল ঘোষের অভিযোগই এখন বিজেপির হাতিয়ার