মমতার নামে ছি-ছি পড়ে গিয়েছে বাংলায়, দিলীপ খোঁচায় বিদ্ধ শাসক তৃণমূল
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে রাজ্যে যে কর্মকাণ্ড ঘটছে, তার জন্য রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছি-ছি পড়ে গিয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে রাজ্যে যে কর্মকাণ্ড ঘটছে, তার জন্য রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছি-ছি পড়ে গিয়েছে। মনোনয়ন বিতর্কে যখন আইনি লড়াই চলছে আদালতে, তখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এক হাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এক হাত নিলেন তৃণমূলের আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগে সুখবর! বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বের ৩৫টি দেশ ]
দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে অত্যাচারের বন্যা বইয়ে দিয়ে মনোনয়ন দিতে দেয়নি তৃণমূল। এখনও প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। এদিনই পুরুলিয়ায় আমাদের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে মারধর করেছে। রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ। এই অবস্থায় মনোনয়ন বিতর্কে আদালতে মামলা করে মিথ্যাচার করছেন তৃণমূল সাংসদ। আর মানুষ ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো কিছু করবেন। কিন্তু তিনি যা নমুনা রাখলেন তাতে ছি-ছি পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, কল্যাণবাবু মিথ্যা প্রচার করছেন। বিজেপি রণেভঙ্গ দেয়নি। আইন মেনেই নোটিশ না পাওয়ায় এদিন উপস্থিত হননি আমাদের আইনজীবী। আমরা বুধবার বিকেল ৪.১০ মিনিটে হাইকোর্টের নোটিশ পেয়েছি। যথাসময়ে বৃহস্পতিবার কোর্টে উপস্থিত হয়ে আমাদের জবাব দেব।
বুধবার হাইকোর্টে পাল্টা মামলার আর্জি জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি ভয়ে আদালত ছেড়ে পালিয়েছে। কল্যাণবাবুর অভিযোগ ছিল, আদালতে তথ্য গোপন করেছে বিজেপি, তার বিরুদ্ধেই মামলা। আর সেই মামলায় মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই রাজ্যের। তাই রণেভঙ্গ দিয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, এদিন সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাদের মামলা সটান পাঠিয়ে দিয়েছে হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট আগেও জানিয়েছিল রাজ্যে পঞ্চায়েতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য পাল্টা দেন, কল্যাণবাবুর কোনও কথা আদালত শোনেননি এদিন।
[আরও পড়ুন:মনোনয়নে বাধা সত্ত্বেও বিরোধীরা কতগুলি আসনে প্রার্থী দিতে পারল এবার পঞ্চায়েতে ]