একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের ময়নাতদন্ত! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিলীপের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা সভাতেই প্রাক্তনীর কণ্ঠে সানা গেল আক্ষেপের সুর।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা সভাতেই প্রাক্তনীর কণ্ঠে শোনা গেল আক্ষেপের সুর। দিলীপ ঘোষ খেদের সুরেই বললেন, আমরা বাংলার মানুষকে বোঝাতে পারিনি যে আমরা জিততে পারি।
বিজেপি ১৫০ আসন পাওয়ার যোগ্য নয়!
এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাওয়ার টার্গেট নিয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু বিজেপি তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারিনি। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বীকার করে নিলেন তাঁদের সেই টার্গেট ভুল ছিল। কেননা আমরা মানুষের মনে সেই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিতে পারিনি। মানুষ মনে করেছে বিজেপি ১৫০ আসন পাওয়ার যোগ্য নয়।
বিজেপিকে বিরোধী আসনে বসিয়েছে বাংলার মানুষ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ৭৭টি আসন জিততে সমর্থ হয়েছে। অর্থাৎ ২০০-র বেশি আসন টার্গেট করে বিজেপি থমকে গিয়েছে তার এক তৃতীয়াংশেই। ১০০-র ধারে-কাছেই যেতে পারেনি বিজেপি। দিলীপ ঘোষের মুখে সেই কথা শোনা গিয়েছে একটু অন্যভাবে। দিলীপবাবু বলেছেন, বাংলার মানুষ মনে করেছে, বিজেপি ১০০-র বেশি আসন পাওয়ার মতো দল নয়। তাই আমাদের বিরোধী আসনে বসিয়েছে।
এৃকুশের হারই আমাদের জয়ের পথ দেখাবে, বলছেন দিলীপ
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিরোধী আসনে বসেও মানুষের সেবা করা যায়, মানুষের জন্য কাজ করা যায়। বাংলার মানুষ দেখতে চাইছে আমরা বিরোধী ভূমিকায় কতখানি সফল হই। এবার হেরেছি মানে আমার আর জিতব না তা তো নয়, এই হার আমাদের জয়ের পথ দেখাবে। সেজন্য সাংগঠনিকভাবে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে।
দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাই হারের কারণ, মত শুভেন্দুর
সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা মঞ্চে এদিন রাজ্যের শীর্ষসারির সমস্ত নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন বিজেপির প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা। বক্তব্য রাখেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাই তাঁদের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বুথ স্তরের সংগঠনকে মজবুত করা হয়নি। সব বুথে সম্ভব না হলেও বেশিরভাগ বুথেই আমাদের এই কাজটা করতে হবে।
নতুন-পুরনো সবাইকে খোলা মনে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে
রাহুল সিনহা বলেন, শুধু মুখে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বললে হবে না। কাজের ক্ষেত্রেও সেটা করে দেখাতে হবে। নতুন-পুরনো সবাইকে খোলা মনে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, অনেকে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন দলে, তাঁদের মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে। তাঁদের সংগঠনে কাজে লাগাতে হবে। মিটিং-মিছিলে তাঁদের ডাকতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করতে হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কমাতে হবে।