তরুণ ফুটবলারের রহস্য মৃত্যুতে নয়া মোড়, দশমীর ভোর রাতে ফেসবুক পোস্ট করল কে
একটা ফেসবুক পোস্ট। দশমীর ভোর রাত ৩.৫৩-তে ফেসবুক পোস্ট করেছেন স্নেহাশিস। পরে সকালের দিকে দেহ মেলে রেললাইনের ধারে। ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে রহস্য। কেননা এখনও পাওয়া যায়নি স্নেহাশিসের মোবাইল ফোন
একটা ফেসবুক পোস্ট। দশমীর ভোর রাত ৩.৫৩-তে ফেসবুক পোস্ট করেছেন স্নেহাশিস। পরে সকালের দিকে দেহ মেলে রেললাইনের ধারে। ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে রহস্য। কার প্রতি অভিমানী হয়েছিলেন স্নেহাশিস। নাকি অন্যকেউ তার প্রোফাইল থেকে লেখাটি পোস্ট করেছে। কেননা এখনও পাওয়া যায়নি স্নেহাশিসের মোবাইল ফোন।
ফেসবুক পোস্টে স্নেহাশিস লিখেছেন, সবাই আসি। আর থাকতে মন করে না এই সমাজে। এই যুগে ভালবাসা বলে কিছু হয় না। সবাই স্বার্থপর। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
স্নেহাশিসের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ২০ অগাস্ট ফেসবুকের কভার ফটো পরিবর্তন করেছিলেন। এক মহিলার ছবি সেখানে দিয়েছিলেন স্নেহাশিস।
বন্ধুদের সূত্রে খবর, খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সঙ্গেই নবমীর দিন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন স্নেহাশিস। যার জেরেই বাড়িতে হামলা। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে পুজোর দিনে কেন হঠাৎই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন স্নেহাশিস, সেই প্রশ্নও উঠছে। সেখানে মহিলাকে নিয়েই কি ঝামেলা, সেই সূত্রও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্নেহাশিস দাশগুপ্তের মোবাইলটির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সেটির খোঁজ পাওয়া গেলে এবং তার ফরেনসিক পরীক্ষা করলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। ফেসবুক পোস্টটি মৃত্যুর আগে করা নাকি পরে করা সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলতে পারে ফোনটি পাওয়া গেলে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের সঙ্গে তুলনা করে মিলতে পারে অনেক প্রশ্নের উত্তর। সবশেষে ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা, সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলতে পারে।