পুজো আসে, পুজো যায়, ঢাকিপাড়ার ঢাকিদের মুখে আর হাসি ফোটে না
শরতের আকাশ হালকা মেঘের আনা গোনা আর কাশফুলের ঝলকানি জানান দেয় শারদীয়ার আগমনী বার্তা।
শরতের আকাশ হালকা মেঘের আনা গোনা আর কাশফুলের ঝলকানি জানান দেয় শারদীয়ার আগমনী বার্তা। দুর্গতিনাশিনীর আবাহনকে ঘিরে এখন ঢাকি পাড়ায় ব্যস্ততা চরমে। কথায় আছে "ঢাকের তালে কোমর দোলে খুশিতে নাচে মন"। দুই কাঠির বাজনার সুরে মেতে উঠবে আনন্দের দিন। তাই এখন ব্যস্ততা দেখা গেল আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর হাজরা পাড়ার ঢাকিদের।
দুই কাঠির বাজনা এখন চলছে ঝাড়াই মোছাই করে সংস্কারের কাজ। এই পাড়ার ঢাকিরা শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যেই সীমাবন্ধ থাকেন না। তারা পূজার সময় আশেপাশের জেলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যত্র পাড়ি দেন।
জানা গিয়েছে, এই পাড়ায় প্রায় ২৮ থেকে ৩০ জন ঢাকি পরিবার বসবাস করেন। ঢাকি শিল্পী পাপন হাজরা জানান, পূজা আসার প্রায় দুই মাস আগের থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকি।
ঢাকিরা জানান, আমরা আমাদের প্রাপ্যটুকুও পাই না। এখনকার যুগে অনলাইনে ঢাকের মিউজিক কিনে অনেকে চাহিদা মেটান। কিছু পুজো কমিটির লোকেরা বায়না করে নিয়ে গিয়ে সঠিক অর্থ দেয় না। এছাড়া আমরা কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইনি আজ পর্যন্ত।
পুজোর চারটে দিন পূজা মন্ডপে দর্শকদের মন জয় করতে এখন থেকেই নিজের ঢাক সাজাতে ব্যস্ত ঢাকি পাড়ার ঢাকিরা পুজোর চারটে দিন যা পাবেন সেটা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।