পদে পদে গাফিলতিতেই ডেঙ্গি প্রবণ কলকাতা-সহ ২৫ পুরসভা! হাসপাতালগুলিতে আক্রান্তদের ভিড়
পদে পদে গাফিলতিতেই ডেঙ্গি প্রবণ কলকাতা-সহ ২৫ পুরসভা! হাসপাতালগুলিতে আক্রান্তদের ভিড়
ডেঙ্গি (Dengi)) প্রবণ কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৫ টি পুরসভা (Municiaplity) এলাকা। সরকারি কাজে পদে পদে গাফিলতির জেরেই এই পরিস্থিতি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বৈঠকেই সেই কথা উঠে এসেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যের সব পুর এলাকাকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে।
ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে জরুরি বৈঠক
রাজ্যে করোনার পাশাপাশি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া। যা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকে ছিল পুর ও নগরোন্নন দফতর। যেখানে হাজির ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। ওই বৈঠকে কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৫ টি পুর এলাকাকে, ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রবণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের সব পুর এলাকাকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
সমন্বয়ে গাফিলতি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয়ে গাফিলতির কথাও উঠে এসেছে ওই বৈঠকে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে পুরসভার যে টিম কাজ করে, সেখানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যদফতরের সঙ্গে পুরসভাগুলির সমন্বয়ের অভারের কথাও বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসনিক পর্যায়েও বেশ কিছু গাফিলতি উঠে এসেছে। হটস্পটগুলি চিহ্নিতকরার ক্ষেত্রে পুরসভা গাফিলতি নিয়েও সতর্ক করা হয় ওই বৈঠকে।
পদে পদে গাফিলতি
মশা দমনে যে অভিযান চালানো উচিত ছিল তাও সঠিকভাবে হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের তরফে মশা দমনের জন্য যে তেল সরবরাহ করা হয়েছে, সেই তেলের মানও নিম্নমানের বলে উল্লেখ করা হয়েছে বৈঠকে। পুরসভাগুলিকে মশা মারার তেলের মান সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় যে ১০ টি ওয়ার্ড ডেঙ্গিপ্রবণ সেখানেই সঠিকভাবে কাজ হয়নি। বিধানগর পুরসভা এলাকাতেও সাফাইয়ের কাজ সঠিকভাবে না হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। জলাশয়গুলিতে নৌকা চালিয়ে মশার লার্ভার মারার যে প্রক্রিয়া তাও সঠিক ভাবে করা যায়নি নৌকার অভাবে। ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার কিট এবং ওষুধের যোগানও পুরসভার হাতে নেই। পাশাপাশি এসওপি মেনেও পুরসভাগুলি কাজ না করার গাফিলতির কথাও উঠে এসেছে।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা
অগ্রহায়নের মাঝামাঝি সময়ে শীত এখনও তেমন পড়নি। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি হলে বর্তমান পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শহরের শিশু হাসপাতালগুলিতেও আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করানো হচ্ছে প্রতিদিন। বড়রাও আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়ারিয়ার সঙ্গে প্লেটলেট কমে যাচ্ছেন। শরীরের বিভিন্ন অংশে গাঁটে গাঁটে ব্যথা হচ্ছে আক্রান্তের।