বিধানসভা ভোটের পুনর্গণনা হলে কে কত আসন পাবে! হিসেব কষে জানিয়ে দিলেন দেবাংশু
বিধানসভা ভোটের পুনর্গণনা হলে কে কত আসন পাবে! হিসেব কষে জানিয়ে দিলেন দেবাংশু
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্বিবেচনার দাবিতে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। এরপর বিজেপিও ৫০টি আসনে পুনর্গণনার দাবিতে সরব হতে চলেছেন। বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, ভোট পুনর্গণনা হলে বিজেপি কতগুলি আসন পাবে।
গোটা রাজ্যে এমন ঘটনা একটাই ঘটেছে
দেবাংশুর কথায়, গোটা রাজ্যে এমন ঘটনা একটাই ঘটেছে যে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়ার পর ফের একজনকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হযেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করা হয়, টিভিতে ব্রেকিং দেখানো হল, তারপর খবরও হয়ে গেল। শেষে জানানো হল তিনি নাকি হেরে গিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া নেবে আদালত
দেবাংশু প্রশ্ন তোলেন মাঝখানে কী ঘটল ওই দীর্ঘ সময়। তখনই লোডশেডিং হয়ে গেল, সার্ভার ডাউন হয়ে গেল। সেই সময়েই যা ঘটার ঘটে গেল। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন আদালতে। নন্দীগ্রাম নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া নেবে আদালত। কিন্তু আমি বলতে পারি ২৯২টি আসনে যদি পুনর্গণনা হয়, তবে বাংলার ফল কী হতে পারে।
২৯২টি আসনে যদি পুনর্গণনা হয়, তবে কী ফল
বারাসতের একটি অনুষ্ঠানে দেবাংশু বলেন, বাংলার ২৯২টি আসনে যদি পুনর্গণনা হয়, তবে বিজেপির আসন কমবেই। এখন ৭৭টি পেয়েছেন, পুনর্গণনা হলে ২৫টি আসন পাবে কি না সন্দেহ। তিনি এই মর্মে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেন। আর বলেন, যদি বিহারে পুনর্গণনা হয়, তবে বিজেপি বিহার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিরোধী ঐক্যের মুখ হন
দেবাংশুর কথায়, বিদেশিদের দালাল বিজেপিকে তাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার বিরোধী ঐক্যে শান দিয়ে কেন্দ্র থেকে মোদী-শাহের সরকারকে হটাতে হবে। তার রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সেই ঐক্যের মুখ হন, তবে মোদী-শাহের সরকারের বিনাশ ঘটবেই। বিজেপি তা বুঝতে পেরেই রাজ্যকে অস্থির করার চেষ্টা করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র
দেবাংশু বলেন, বিজেপি সামনের দরদা দিয়ে ঢুকতে পারেনি। তাই পিছনের দরজা ফাঁক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই পিছনের দরজা হল রাষ্ট্রপতি শাসন। রাষ্ট্রপতি শাসনের হুজুগ তুলে রাজ্যকে অশান্ত করে তোলাই বিজেপির লক্ষ্য। রাজ্যকে অস্থির করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু কিছুই লাভ হবে না। মোদী-শাহের সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজবেই এবার।
বিজেপিতে নামছে বিরাট ধস! দলবদলুরাই নন আদি নেতাদেরও তৃণমূল-যোগের হিড়িক এবার