গোর্খাল্যান্ড বিক্ষোভে দার্জিলিংয়ের চা বাগানের কী দশা জানলে আঁতকে উঠবেন
সবমিলিয়ে দার্জিলিংয়ে মোট ৮৭টি টি এস্টেট রয়েছে। সেগুলির মিলিত ক্ষতির পরিমাণ এবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে গড়ে ৩০ শতাংশ ক্ষতি হবে চা বাগান। কারণ কয়েকদিন আগেই ১০৪ দিনের পাহাড় বনধ কাটিয়ে উঠেছে দার্জিলিং। আর এবছরের শস্য ক্ষতির পরিমাণ শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠবেন। চলতি বছরে অন্তত ৭০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে চা বাগানগুলির।
সবমিলিয়ে দার্জিলিংয়ে মোট ৮৭টি টি এস্টেট রয়েছে। সেগুলির মিলিত ক্ষতির পরিমাণ এবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করে সমস্যা সমাধান করবে বলে জানানোয় বনধ উঠে গিয়েছে। এতদিন বন্ধ থাকায় উৎপাদন প্রায় বন্ধের মুখে। তার উপরে উৎসবের মরশুমে তা কবে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এর আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আন্দোলন হয়েছে, বনধ হয়েছে। তবে এতদিন ধরে বনধ কখনও হয়নি। চা বাগানের সংস্কার এতদিনে থমকে থেকেছে। যার ফলে এখন বনধ উঠে গেলেও চা বাগানের সংস্কার করে তা থেকে সঠিক হারে উৎপাদন চালু করতে কয়েকমাস লেগে যেতে পারে।
বনধ উঠে যাওয়ার পর চা বাগানের ম্যানেজার ও কর্মীরা কাজে ফিরেছেন। আপাতত তাঁদের মূল লক্ষ্য টি এস্টেটগুলিকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। তবে তা করতে ৭-৮ মাস লেগে যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
দার্জিলিংয়ে প্রতিবছর ৮৫ লক্ষ কেজি চা উৎপাদন হয়। বসন্ত ও গরমে উৎপাদন সবচেয়ে ভালো হয়। আর এবছর বর্ষার সময়ে উৎপাদনের কাজই করা যায়নি। যার ফল আগামিদিনে ভোগ করতে হবে। সেই সুযোগে নেপালের চা ভারতের বাজারে ঢুকে পড়েছে। যা পরে সামাল দিতে সমস্যা হতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।