গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল, পুড়ল গুরুংয়ের কুশপুত্তলিকা, এই সাহস দেখাল কারা
‘কোনওমতেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড করা যাবে না। পাহাড়ে বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে। পাহাড়কে কিছুতেই বাংলা থেকে ভাগ করা যাবে না।’
পাহাড়ে মোর্চা যখন পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে, তখন সমতলে বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল ছাত্র-যুবরা। শিলিগুড়িতে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে তারা স্লোগান তুলল, 'আমরা পৃথক গোর্খাল্যান্ড চাই না। আমরা পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।'
কোনওমতেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড করা যাবে না। পাহাড়ে বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে। পাহাড়কে কিছুতেই বাংলা থেকে ভাগ করা যাবে না। জাতীয় পতাকা নিয়ে এদিন মিছিলে সরব হলেন ছাত্র-যুবরা। মোর্চার অনির্দিষ্টকালীন বনধের বিরোধিতা করে বিমল গুরুংয়ের কুশপুত্তলিকাও পোড়ানো হল এদিন।
প্রথমে ছাত্র-যুবদের এই মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ। তা ক্রমেই বিশৃঙ্খলার দিকে মোড় নিতে থাকে। মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্র-যুবদের ছোড়া ইটের আঘাতে এক গাড়ি চালকের মাথা ফেটে যায়। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল শুরু হয়। ভেনাস মোড়, সেবক মোড় হয়ে এয়ারভিউ মোড়ে মিছিল পৌঁছলে পুলিশ এগোতে বাধা দেয়। ছাত্র-যুবরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করে। পুলিশের প্রতিরোধে মিছিলের অভিমুখ তারা ঘোরাতে বাধ্য হয়।
সেইসময় অন্যদিক থেকে একটি মিছিল এসে মিলিত হয়। তখনই মোর্চা সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ওই পথ দিয়েই তখন যাচ্ছিল একটি সিকিম পুলিশের গাড়ি। সেই গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। গাড়ি চালকের গায়ে ইট লাগে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেবক মোড়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন ফের পাহাড়ে মিছিল বের করে মোর্চা। হিলকার্ট রোডে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে মোর্চা সমর্থকরা এগতে গেলেই খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের সঙ্গে। এরপর একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করে মোর্চা সমর্থকরা। বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা নামিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়।