প্রশ্ন তুললেই বহিষ্কার কেন, বুদ্ধ-বিমানের বিরুদ্ধে মিছিলে সিপিএম কর্মীরাই!
কিছুদিন আগে বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা দল থেকে বের করে দেন শুভনীল চৌধুরীকে। শুভনীলবাবু সিপিএমের ওয়েবসাইটের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর তিনি বলেছিলেন, শুধু শাসক দলের সন্ত্রাসকে দায়ী করলেই চলবে না, ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে আত্মসমীক্ষাও করতে হবে। সিপিএমের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে, এটা স্পষ্ট।
কিন্তু তাঁর এই কথায় বেজায় চটে যান আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। তাঁরা সটান দল থেকে বের করে দেন শুভনীলবাবুকে। এর জেরে কলকাতায় পার্টির নীচুতলায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়। এর আগে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা প্রমুখ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় তাঁদেরও বের করে দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন তুললেই কেন শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে, এই জবাব চেয়ে এ বার পথে নামার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএমের একাংশ।
মঙ্গলবার বিকেলে মৌলানা আজাদ কলেজের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু হবে। শেষ হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সবজি মোড়ে গিয়ে। সেখানে বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে একটি পথসভা হবে। শুভনীল চৌধুরী-সহ বিভিন্ন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা থাকবেন। এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন মানিকতলা (উত্তর) লোকাল কমিটির সদস্য সুমন্ত সেন, কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য দেবু মুখোপাধ্যায়, আলিমুদ্দিন-মল্লিকবাজার লোকাল কমিটির সম্পাদক হাসনান ইমাম প্রমুখ। আবদুর রেজ্জাক মোল্লারও আসার কথা রয়েছে।
বিক্ষুব্ধদের মতে, শুভনীলবাবু লক্ষ-লক্ষ কর্মী-সমর্থকের মনে কথাই বলেছিলেন। কেন নেতারা নিজেদের ব্যর্থতার দায় খুঁজতে আত্মসমীক্ষা করবেন না, সেই প্রশ্ন তুলে কোনও অন্যায় করেননি। শাসক দলের সন্ত্রাসে যখন রাজ্য জুড়ে পার্টির কর্মী-সমর্থকরা ঘরছাড়া, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা বিবৃতি দিয়েই দায় সেরেছেন। তাই কেউ ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুললেই দল থেকে বের করে দেওয়ার নৈতিক অধিকারটুকুও বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের নেই।