উলটপুরান! হুগলিতে দলের ভাঙনে পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতায় সিপিএম
এ যেন উলট পুরান! রাজ্য তৃণমূলের হাতছাড়া পঞ্চায়েত। তৃণমূলের ১৩ সদস্যের ইস্তফায় সিপিএমের বোর্ড দখল এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
হুগলি, ২১ মার্চ : এ যেন উলট পুরান! রাজ্য তৃণমূলের হাতছাড়া পঞ্চায়েত। তৃণমূলের ১৩ সদস্যের ইস্তফায় সিপিএমের বোর্ড দখল এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা হারানোর ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজার অপেক্ষা। শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী সিপিএম তথা বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও বিজেপি রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে তৎপর। বিজেপি তো উত্তরপ্রদেশ জয়ের তৃণমূলের হাত থেকে বাংলার গ্রাম দখল করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। ঠিক সেই সময় দলের ভাঙনে হুগলির কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল তৃণমূলের।
সোমবার বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৩ সদস্য ইস্তফাপত্র তুলে দেন বিডিও তমালবরণ ডাকুয়ার হাতে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, গোষ্ঠীকোন্দলেই হাতছাড়া হতে চলেছে পঞ্চায়েত। এই কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০টি আসন। গত পঞ্চায়েত ভোটে ২১টি আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম পায় বাকি ন'টি আসন। এখন ১৩ জন তৃণমূল সদস্য ইস্তফা দেওয়ায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াচ্ছে আটে। ফলে বৃহত্তম দল হিসেবে সিপিএমেরই অদিকার বোর্ড গঠনের।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১৪ জন তৃণমূল সদস্য দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেন। এই ঘটনায় হুগলি তৃণমূল দু'ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। হুগলির পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম, জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত ও বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল উদ্যোগী হয়েও এই ক্ষত সারতে পারেনি। ফলে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।