বাংলার ‘হনুমান’দের বুক চিরলে দিল্লির ‘রাম’কেই দেখা যাবে, নয়া তত্ত্বে তোপ সূর্যের
বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী আর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী দুজনে মিলে মানুষের মন বিষিয়ে দিচ্ছেন। পুরুলিয়ার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী আর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী দুজনে মিলে মানুষের মন বিষিয়ে দিচ্ছেন। পুরুলিয়ার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, একজন রামের নাম নিয়ে বিষ ছড়াচ্ছেন আর অন্যজন হনুমানের নামে বিষ ছড়াচ্ছেন। কিন্তু ওঁরা জানেন না হনুমানের আনুগত্য প্রমাণের গল্পটা। রাম-হনুমান নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি ও তৃণমূল প্রমাণ করে দিয়েছে ওরা একই রাজনীতি করছে।
[আরও পড়ুন: মমতা ভয় পান মুকুলকে! এমন দাবিতেই জনসভা মাতালেন প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ]
সূর্যকান্ত মিশ্র এদিনের জনসভায় বলেন, রাম একবার সন্দেহ করেছিলেন হনুমানকে। তখন হনুমানকে আনুগত্যের পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছিল। হনুমান তা দিয়েওছিলেন। রাম-সীতার সামনে হনুমান বুক চিরে দেখিয়েছিলেন সেখানেও রয়েছেন রাম-সীতা। তেমনই বাংলার যত হনুমান আছে তাঁদের বুক চিরলে দিল্লির রামকে দেখা যাবে। অর্থাথ তৃণমূলের বুক চিরলে দেখা যাবে বিজেপিকেই।
সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন অভিযোগ করেন, এখানে যতই লড়াই করুক রাম-হনুমানে, দিল্লিতে উভয়েই এক। সে প্রমাণ আগেও দিয়েছেন হনুমানেরা। এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। এদিন সূর্যকান্তবাবু বলেন, বিজেপিকে কিছুতেই দু-নম্বর স্থানে উঠে আসতে দিলে হবে না। নিচুতলার কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বিরোধী জোট হয়েছে অনেক জায়গাতেই। কিন্তু হিসাব বলছে বিরোধী জোট হলে বিজেপিরই লাভ হবে।
[আরও পড়ুন:বিজেপিতে যাওয়ার পর মুকুলের অধঃপতন দেখছেন পার্থ, নির্বাচনী ধাপ্পায় প্রশ্নে নৈতিকতাও]
এই সমস্যা দূর করতে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, তৃণমূল বা বিজেপি কাউকেই ভোট দেওয়া যাবে না। যেখানে বামেরা থাকবে না সেখানে ভোট দিতে হবে অন্য কোনও দল বা নির্দলকে। আর মনে রাখতে হবে আমাদের লক্ষ্য শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচন নয়, আমাদের লক্ষ্য শোষণহীন সমাজ কায়েম করা। বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে। তৃণমূলকে পরাস্ত করতে হবে।
তাই তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে কোনও বোঝাপড়া নয়। কোনওভাবেই বিজেপি ও তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না। এই দুই দলই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। তাই ওদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এদের হিন্দু-মুসলিম ছাড়া কোনও ইস্যু নেই। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই হল সমাজের পক্ষে ভয়ঙ্কর। তাই এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।