কংগ্রেসের জন্য আসন ছেড়ে প্রার্থী তালিকা তৈরি সিপিএমের, কোথায় কে হচ্ছেন প্রার্থী
লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এখনও চূড়ান্ত না হলেও, আসন ছেড়ে রেখে সিপিএম একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলল প্রার্থীর তালিকা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এখনও চূড়ান্ত না হলেও, আসন ছেড়ে রেখে সিপিএম একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলল প্রার্থীর তালিকা। বাম-শরিক ও কংগ্রেসের আসন বাদ দিয়ে ২০ আসনের প্রার্থী দিতে চাইছে সিপিএম। বিতর্কিত দুটি আসন- রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ তাঁরা ছাড়বেন না, ওই দুটি আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে পারে সিপিএম।
বিরোধী ভোট ভাগ রুখতেই আসনরফা
এরপর কংগ্রেস যদি তাঁদের জেতা আসন দুটিতে প্রার্থী দেয়, তবে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনের মধ্যে অন্তত দুটি আসনে প্রার্থী দেবে। ফলে বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। তাহলে বিশেষ সুবিধা হবে তৃণমূলের, সুবিধা হবে বিজেপিরও। সেটা রোখাই এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সিপিএম।
চতুর্মুখী লড়াই চায় না সিপিএম
কংগ্রেস যদি রফায় না আসে, তবে শুধু চারটি আসনেই নয়, বাকি আসনগুলিতেও চতুর্মুখী লড়াইয়ের দিকে এগিয়ে যাবে। এই অবস্থায় কংগ্রেস য়েমন ৪২ আসনে তাঁদের প্রার্থী প্রস্তুত বলে জানিয়ে রেখেছে, সিপিএমও বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী প্রস্তুত রাখছে। বেশ কিছু আসনে ছোট শরিকদেরও ঠেলে দিতে পারে সিপিএম।
আসনরফা নিয়ে আলোচনার পথ খোলা
এই অবস্থায় সিপিএম নেতৃত্ব ঠিক করে ফেলেছে, এখনও আসনরফা নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রেখে, কিছুদিন অপেক্ষা করতে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন ঘোষণা হলেই প্রস্তুত করা তালিকা প্রকাশ করতে পারে সিপিএম। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে।
রায়গঞ্জ থেকে দক্ষিণ কলকাতা
সিপিএম স্থির করেছে, বিতর্কিত রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদে প্রার্থী থাকছেন গতবারের জয়ী দুই সাংসদ। অর্থাৎ রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিম, বদরুদ্দোজা খান হচ্ছেন সিপিএম দুই প্রার্থী। যাদবপুরে প্রার্থী করা হতে পারে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। দক্ষিণ কলকাতায় সব্যসাচী চক্রবর্তীর নাম শোনা যাচ্ছিল, তিনি রাজি না হওয়ায় অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ই প্রার্থী হবেন।
উত্তর কলকাতা থেকে বারাকপুর
উত্তর কলকাতা থেকে প্রার্থীপদে শোনা যাচ্ছিল ফুয়াদ হালিম ও রূপা বাগচির নাম। তবে কলকাতার একটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়া হবে এমন স্থির হয়েছিল, তা হলে উত্তর কলকাতাও ছাড়া হতে পারে। দমদম থেকে উঠে আসছিল দুটি নাম। একটি নাম নেপালদেব ভট্টাচার্যের। আর অপর নামটি তন্ময় ভট্টাচার্যের। আরও একটি নাম এখানে উঠে আসছে, সেই নামা হল রেখা গোস্বামী। ব্যারাকপুর আসনে রয়েছে গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তবে এই আসনটিও ছাড়া হতে পারে কংগ্রেসকে।
ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া
ঝাড়গ্রাম আসনে সিপিএমের টিকিটের মূল দাবিদার হয়ে উঠেছেন দেবলীনা হেমব্রম। বাঁকুড়া থেকে প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছিল অমিয় পাত্রের নাম। তিনি প্রার্থী হতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই এই কেন্দ্রে পার্থ মজুমদার বা সুকুমার পাইনের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা।
বর্ধমান থেকে বোলপুর
বর্ধমান-দুর্গাপুরে দুজনের নাম উঠছে বেশি করে। অমল হালদার বা আভাস রায়চৌধুরী- দুজনের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে। তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী হতে পারেন ঈশ্বর বসু। বোলপুরে রামচন্দ্র ডোমের নামই শোনা যাচ্ছে ফের। বনগাঁয় দেবেশ দাস কিংবা অলোকেশ দাস প্রার্থী হতে পারেন।
কংগ্রেসের জন্যও ছাড়
বীরভূম, আসানসোল আসনটিও কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখা হতে পারে। তবে একইসঙ্গে প্রার্থীও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। আসানসোলে কংগ্রেস প্রার্থীর বিকল্প প্রার্থী হতে পারেন সিপিএমের গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। শরিকদের সঙ্গে আসন রফা পাকা। তিনটি করে আসন তিন বড় শরিক সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপিকে ছাড়া হচ্ছে। সিপিআই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা বসিরহাট, ঘাটাল ও মেদিনীপুরে প্রার্থী দেবে।