তৃণমূল সরকারের প্রকল্পে সহায়তার হাত বাড়াল সিপিএম, বেনজির ঘটনায় কুর্নিশ বাসিন্দাদের
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে জোট বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে একতার ছবি প্রকট হল রাজ্য রাজনীতিতেও। বাংলায় তৃণমূল সরকারের প্রকল্পে সহায়তা হাত বাড়িযে দিল সিপিএম।
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে জোট বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে একতার ছবি প্রকট হল রাজ্য রাজনীতিতেও। বাংলায় তৃণমূল সরকারের প্রকল্পে সহায়তা হাত বাড়িযে দিল সিপিএম। বাংলার মাটিতে এই ছবি যেমন দেখান সবার আগে জনস্বার্থ, তেমনই ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা লড়াইয়ের বাতাবরণও তৈরি করল।
১৯টি বিজেপি বিরোধী দল মিলিত এক ডাকে
শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর ডাকে মিলিত হয়েছিল ১৯টি বিজেপি বিরোধী দল। কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএমসহ ১৯টি দলের প্রতিনিধিরা এক হয়ে চলার শপথ নেন জাতীয় স্বার্থে। দেশের স্বার্থে দিল্লির সিংহাসন থেকে তাঁরা বিজেপিকে হটাতে একসঙ্গে হাত ধরে চলবে বলেও জানায়। সোনিয়া ও মমতা উভয়েই বলেন, ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে দেশরক্ষায়।
বাংলার রাজনীতিতে একেবারে ভিন্ন একটি ছবি
তারপরই শনিবার বাংলার রাজনীতিতে দেখা যায় একেবারে ভিন্ন একটি ছবি। তৃণমূলের সঙ্গে বৈরিতা ভুলে সিপিএমকে দেখা যায় জনস্বার্থে কাজ করতে। সেই ছবি সত্যিই বর্তমান সময়ের রাজনীতিরে একেবারেই বিরল। দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপের জন্য তৃণমূল সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কাছেই একটি পৃথক হেল্প ডেস্ক খুলল সিপিএম নেতৃত্ব।
জনস্বার্থে হেল্প ডেস্ক সিপিএম নেতাদের
মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলা এলাকায় সিপিএম নেতারা সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য যেভাবে এগিয়ে এলেন, তা নিতান্তই প্রশংসাযোগ্য। নারায়ণ বিদ্যাভবনে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবির করা হয়েছিল। সেখানে লাইন দিয়ে স্থানীয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তোলেন। কিন্তু ফর্ম ফিলাপ নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ছিলেন। তাঁদের সংশয় দূর করতে হেল্প ডেস্ক খুলে হাজির সিপিএম নেতারা।
তৃণমূল সরকার প্রকল্পে সাহায্যর হাত সিপিএমের
সিপিএম নেতারা দেখালেন জনস্বার্থে কাজ কাকে বলে। তৃণমূল সরকার প্রকল্প নিয়ে এসেছে বলে তাঁরা সরে গেলেন না। মানুষের পাশে দাঁড়ালেন নিঃস্বার্থে। কোনও টাকা-পয়সার বিনিময়ে নয়, মানুষের উপকারে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সিপিএমের এই ভূমিকায় এলাকার মানুষ দারুন খুশি। তবে অনেকে মনে করছে, সিপিএমের এই অবস্থানের পিছনে কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়াও লুকিয়ে থাকতে পারে।
রাজনীতি না জনসেবা, তিন পার্টির অভিমত
সিপিএম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকারে যেই থাকুক না কেন, সে যদি মানুষের জন্য কিছু করতে চায়, যে দলমত বাছবে না। আমরাও নৈতিক দায়িত্বব পালন করতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। তৃণমূলের দাবি, মানুষের পাশে থাকার কথা সবাই বলেন, কিন্তু ক-জন আর মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন। সিপিএম মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাঁদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে, আমরা ওদের ধন্যবাদ জানাই। বিজেপির অভিযোগ, উভয়েই এখানে রাজনীতি করছে, রাজনীতি ছাড়া ওসব কিছুই নয়।