বিজেপি-তৃণমূলের দেখানো পথে হেঁটেই কামব্যাকের লক্ষ্যে! তৈরি সিপিএমের ‘ডিজিটাল’ পথ
বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে উঠে এসেছিল ভারতীয় রাজনীতিতে। ২০১৪-র সেই উত্থানের পর এখন গোটা দেশে তারা রাজত্ব করছে। তারপর তৃণমূলও বাংলায় বিজেপিকে টক্কর দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে।
বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে উঠে এসেছিল ভারতীয় রাজনীতিতে। ২০১৪-র সেই উত্থানের পর এখন গোটা দেশে তারা রাজত্ব করছে। তারপর তৃণমূলও বাংলায় বিজেপিকে টক্কর দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে। এবার সিপিএমও কামব্যাকের লক্ষ্যে সেই পন্থা অবলম্বন করল। সিপিএম ডিজিটাল যুদ্ধে নামল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিপিএম এবার ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে লড়াইয়ে নামল। তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেওয়া আর জনসংযোগ দুই পাখি মারতে চাইল এক ঢিলে। আর তাদের এই লক্ষ্যে এগিয়ে দিল সম্প্রতি বাংলায় ঘটে যাওয়া রামপুরহাট-কাণ্ড। বীরভূমের যে ঘটনায় তৃণমূলের মুখোশ খুলে গিয়েছে, এবার রাজ্যজুড়ে তাদের আসল চেহারা সামনে আনতে চাইছে সিপিএম।
সিপিএম তাই রাজ্যব্যাপী অভিযানে নামছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র 'পাহারায় পাবলিক' নামে একটি কর্মসূচি শুরু করার বার্তা দিয়েছেন। সিপিএম তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় দুর্নীতিবাদ তৃণমূল নেতাদের খুঁজে বের করবে। একইসঙ্গে হবে জনসংযোগ।
সিপিএমের সামনে বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে তৃণমূল। তারা কিছুতেই এই সুযোগ হেলায় হারাতে চায় না। হারতে হারতে দেওয়া পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই এবার ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ নেই। তাই ভেলা যখন পাওয়া গিয়েছে তা ভাসিয়ে মাঝ নদী থেকে তিরে উঠতেই হবে। সিপিএম তাই ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে এবার ফিরে আসার সোপান তৈরি করতে চাইছে।
সূর্যকান্ত মিশ্র নিজের ফেসবুক ওয়ালে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন। ডাক দিয়েছেন পথে নামার। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলী নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে ডিজিটাল পথেই মোকাবিলা করতে চাইছে সিপিএম। প্রতিটি এলাকায় ভলান্টিয়ারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। আবেদন করেছেন শুধু একটি ফর্ম ফিলাপ করার। তাহলেই সিপিএমের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। সমাজ বাঁচবে।
সূর্যকান্ত মিশ্র লিখেছেন-শুধু একটা ফর্মফিলাপ করতে হবে। তাতেই কাজ শেষ। যাঁরা এই ফর্মফিলাপ করবেন, তাদের নাম ও যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণভাবে গোপন রাখা হবে। এই ফর্মে জানাতে হবে তোলাবাজি, বেলাগাম দুর্নীতি চালানো তৃণমূল নেতার নাম। এই ছোট্ট কাজে যদি রাজ্যের মানুষ এগিয়ে আসেন, তাহলে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। সমাজকে বাঁচাতে এইটুকু সাহায্য করার আবেদন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের।
তিনি
আবেদন
করেছেন,
ফর্ম
ফিলাপের
সঙ্গে
ছবি
বা
ভিডিও
পোস্ট
করতে
পারেন।
তার
জন্যও
Email
Id-ও
দিয়েছেন
তিনি।
[email protected]এ
ছবি
ও
ভিডিও
পাঠাতে
পারেন।
তাহলেই
পশ্চিমবঙ্গের
বুকে
দ্বিতীয়
রামপুরহাট
হবে
না।
আপনার
অঞ্চলে
ভাদু
শেখের
মতো
আঙুল
ফুলে
কলাগাছ
হওয়া
তৃণমূল
নেতাদের
চিহ্নিত
করা
সম্ভব
হবে,
জানান
সূর্যকান্ত।