ধর্ষণকাণ্ডে নম্রতার পাড়ার আদালতে আত্মসমর্পণ ঋতব্রতর, কী নির্দেশ দিলেন বিচারক
ধর্ষণকাণ্ডে দ্বিতীয় মামলাতেও আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ঋতব্রতর আইনজীবী। গত ৩ নভেম্বর তিনি প্রথম মামলায় আগাম জামিন পেয়ে যান। এবার দ্বিতীয় মামলাতেও স্বস্তি মিলল ঋতব্রত-র
ধর্ষণের দ্বিতীয় মামলাতেও স্বস্তি মিলল সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করল বালুরঘাট আদালত। ঋতব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা জানান, বিচারক ঋতব্রতর বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও প্রি-ম্যাচিওরড স্টেজে রয়েছে বলে জানিয়ে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন। ঋতব্রতর স্ত্রী দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
[আরও পড়ুন:নির্বাচনের আগেই ধাক্কা গুজরাত কংগ্রেসে, এই কারণে দল ছাড়লেন প্রভাবশালী নেত্রী]
গত ১০ অক্টোবর সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদের বিরুদ্ধে বালুরঘাট আদালতে মামলা দায়ের করেন অভিযোগকারী নম্রতা দত্ত। তাঁর অভিযোগ, ঋতব্রত তাঁকে দিল্লির কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করেন। কিন্তু ঋতব্রত পরে টাকার বিনিময়ে তা মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেই কারণেই নম্রতা ঋতব্রতর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
পরে এই মামলার সঙ্গে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ঋতব্রতর স্ত্রী দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। দুর্বা, মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ অর্চনা মজুমদার-সহ অনেককে দিয়েই তাঁর উপর ঋতব্রত চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন নম্রতা। এবং সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় এ ব্যাপারে ঋতব্রতকে সাহায্য করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
সেই দ্বিতীয় মামলাতেই আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ঋতব্রতর আইনজীবী। গত ৩ নভেম্বর তিনি প্রথম মামলায় আগাম জামিন পেয়ে যান। এদিন ফের দ্বিতীয় মামলাতেও তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর হয়ে গেল। এদিন প্রথম মামলায় তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেইমতো এদিন বালুরঘাট আদালতে আত্মসমর্পণও করেন তিনি। সেই মামলার শুনানিও হয় এদিন।
উল্লেখ্য, ঋতব্রতর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নম্রতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও টুইট করেছিলেন। তারপরই এই অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। শুরু হয় মামলা। সিআইডিও এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। ভবানিভবনে ডেকে ইতিমধ্যে জেরা করা হয়েছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অর্চনা মজুমদারকেও নিজাম প্যালেসে গিয়ে জেরা করে সিআইডি। তারপর এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। এবং দুটি মামলাতেই জামিনও পেয়ে গেলেন ঋতব্রত।
সরকারি আইনজীবী জানান, 'আমরা সমস্ত প্রমাণ-নথি পেশ করেছি আদালতের কাছে। আদালত তা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করেছে। তারপরও আসামী পক্ষের আইনজীবীরা আবেদন করেছিলেন আগাম জামিনের। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।