ভরসা এবার নেড়িতে! মমতার রাজ্যে পুলিশের নতুন 'আশা'
শুধু বিলিতি কুকুর নয়, নজরদারির কাজে এবার দেশি কুকুরের ওপর ভরসা রাখতে চলেছে রাজ্য সরকার। ব্যারাকপুর লাটবাগানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের কাজ শেষ। খুব তাড়াতাড়ি এই দেশি কুকুরের পোস্টিং হবে।
শুধু বিলিতি কুকুর নয়, নজরদারির কাজে এবার দেশি কুকুরের ওপর ভরসা রাখতে চলেছে রাজ্য সরকার। ব্যারাকপুর লাটবাগানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের কাজ শেষ। খুব তাড়াতাড়ি এই দেশি কুকুরের পোস্টিং হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের প্রথম বেশি প্রশিক্ষিত কুকুরের নাম আশা।
কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্যের পুলিশ কিংবা আধাসামরিক বাহিনীর কাজে, বলা যেতে পারে নজরদারির কাজে সুযোগ পায় বিলিতি কুকুররাই। সবার আগে রয়েছে জার্মান শেফার্ড কিংবা ল্যাব্রাডর। প্রশিক্ষণ কিংবা পরবর্তী সময়ে লালন-পালন, খরচও হয় বিস্তর। সেদিক থেকে দেশি কুকুর অর্থাৎ আমরা যাকে নেড়ি বলে থাকি, বিশেষ কাজে তাদের প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে।
তবে এদিক থেকে দেশি কুকুরদের কদর রয়েছে একাধিক জায়গায়। নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছাউনির মধ্যে জার্মান শেফার্ড কিংবা ল্যাব্রাডর রাখা হলেও বাইরে কিন্তু বেশ কিছু সংখ্যায় দেশি কুকুর পোষা হয় বিভিন্ন বাহিনীর তরফ থেকে। কেননা দেশি কুকুর সেখানকার স্থানীয় বিভিন্ন আবহাওয়ার পক্ষে সহনশীল।
তবে প্রশিক্ষণ পেলে যে নেড়িরাও পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে লাটবাগানের আশা। রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশার জন্ম লাটবাগান চত্বরেই। ছোট অবস্থায় ভাল লাগা থেকে কুকুরটির সম্পর্কে প্রস্তাব দেওয়া হয়, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধিকর্তার কাছে। প্রথম নজরের ভাল লেগে যায় অধিকর্তারও। এরপর কুকুর আবাসে নিয়ে গিয়ে চলে নির্দিষ্ট সময়ের প্রশিক্ষণ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণ শেষে বিলিতি সঙ্গীদের কড়া টক্কর দিচ্ছে এই নেড়ি। একবছর বয়সেই বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছে সে। জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আশার পোস্টিং দেওয়া হবে।