ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলুন, করোনা আতঙ্কে পুরভোট কি পিছিয়ে যাবে?
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতেই পুরভোটের সঠিক সময়ে হওয়া নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতেই পুরভোটের সঠিক সময়ে হওয়া নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ পুরভোট মানেই প্রচার, জমায়েত, মিটিং, মিছিল, পথসভা একাধিক জনবহুল কর্মকাণ্ড। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জমায়েত, ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। যার জন্য প্রায় গোটা বিশ্বেই অঘোষিত বনধের চেহারা নিয়েছে।
এপ্রিলেই পুরভোটের সম্ভাবনা
সম্ভবত এপ্রিলেই পুরভোট করানোর কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেই শুরু হয়ে যাবে পুরভোটের প্রচার। মিটিং, মিছিল, জমায়েত শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু করোনা ভাইরাস যেভাবে বাড়ছে তাতে ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যেই স্কুল-কলেজ, শপিং মল, সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট এপ্রিলে করানো নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হতে পারে। পিছিয়ে যেতে পারে পুরভোট।
পুরভোট পিছোতে চায় বিজেপি
দুই দফায় এপ্রিলে পুরভোট করাতে চাইছে সরকার। যদিও বিজেপি রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্তে নারাজ। এরজন্য আগেই পুরভোট পেছানোর আর্জি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবারও করেছেন মুকুল রায়রা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারকে বিরোধীদের মতামত নিয়ে পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার কথা বলেছেন। করোনা ভাইরাসের সুযোগে পুরভোট পিছনোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিপর্যয় ঘোষণা কেন্দ্রের
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসকে বিপর্যয় ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। কোভিড-১৯-এ মৃত্যু হলে ৪ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গতকালই মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।