সমস্যা হলে থানায় নয়, জানাতে হবে গ্রাম-কমিটিকে, জমি বিক্রি নয় মুসলিমদের! মহিষাদলে ফতোয়া ঘিরে বিতর্ক
সমস্যা হলে থানায় নয়, জানাতে হবে গ্রাম-কমিটিকে, জমি বিক্রি নয় মুসলিমদের! মহিষাদলে ফতোয়া ঘিরে বিতর্ক
সাধারণ মানুষের জীবনে হাজারো সমস্যা। ফৌজদারি কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পুলিশের (police) দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের চকদ্বারিবেড়া পশ্চিম পল্লির গ্রামের নির্দেশ হল ওই ধরনের কোনও সমস্যায় প্রথমে যেতে হবে গ্রাম পরিচালকদের কাছে। গ্রাম পরিচালকদের এই বিজ্ঞপ্তিকে ফতোয়া (Fatwa) বলেই অভিযোগ করেছেন একাংশের গ্রামবাসীরা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বাড়িতে বাড়িতে ফতোয়া বিলি
গতমাসের শেষের দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের চকদ্বারিবেড়া গ্রামে বেশ কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। যা ছাপিয়ে গ্রামাবাসীদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার ১২ দফা ফতোয়া ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আছে জরিমানা
বিভিন্ন বাড়িতে বিলি করা গ্রাম্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গ্রামে বাস করলে সব নিয়ম নেমে চলতে হবে। গ্রামের সাধারণ সভায় প্রত্যেক বাড়ি থেকেই সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে। না থাকতে ২০ টাকা করে দিতে হবে। গ্রামের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলে ১০০ টাকা করে গ্রাম্য তহবিলে জমা করতে হবে। গ্রামের প্রজাদের বিচার ফি ৩০০ টাকা আর বাইরের কেনো বিচার এলে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। সাধারণ সভা কিংবা কোনও সভায় অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় প্রবেশ করলে ১০০১ টাকা মন্দির তৈরির জন্য দান করতে হবে। গ্রামের পরিচালকদের পরিচালনায় কোনও ভুল হলে তা সাধারণ সভায় অলোচনা করতে হবে। অন্য কোনও জায়গায় আলোচনা করলে তা অপরাধ বলে ধরা হবে।
মাঙ্গলিক এবং অশৌচ অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা
বাড়িতে কোনও মাঙ্গলিক কিংবা অশৌচ অনুষ্ঠানের আগে গ্রাম কমিটিকে নিয়ে বসে আলোচনা করতে হবে। বাড়ির লোকেদের না জানিয়ে ছেলেরা বৌ নিয়ে এলে কিংবা মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে তা গ্রাম কমিটিকে জানাতে হবে। কমিটির সিদ্ধান্তে চাঁদা ধার্য করা হবে।
সমস্যা হলে থানায় নয়
গ্রামে পরিবার কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও বিবাদ হলে, গ্রাম্য পরিচালকদের নজরে আনতে হবে। কোনও সমস্যা হলে প্রশাসনের কাছে যাওয়া যাবে না। গ্রামের পরিচালকদের তা জানাতে হবে। গ্রামের উন্নয়নের জন্য পরিচালক কমিটিকে সহায়তা করতে হবে। না হলে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।
মুসলিমদের জায়গা বিক্রি নয়
একেবারে
শেষের
নির্দেশিকায়
বলা
হয়েছে,
গ্রামটি
ছোট।
এই
গ্রামের
জায়গা
মুসলিমদের
বিক্রি
করা
যাবে
না।
কারণ
গ্রাম
হিসেবে
এটি
ঠাকুর
চোখ
গ্রাম।
বাড়ির
দেওয়ালে
এই
বিজ্ঞপ্তি
দেখে
হতবাক
স্থানীয়রা।
তাঁদের
প্রশ্ন
এই
সময়ে
কী
এইভাবে
এই
ধরনের
ফতোয়া
জারি
করা
যায়?
এই
ফতোয়া
নিয়ে
চাপানউতোর
শুরু
হয়েছে।
বিজেপির
অভিযোগ
পঞ্চায়েত
ভোটের
আগে
গ্রামবাসীদের
ভয়
দেখাতে
এইসব
করা
হচ্ছে।
যদিও
স্থানীয়
তৃণমূল
নেতৃত্বের
তরফে
এই
অভিযোগ
অস্বীকার
করা
হয়েছে।
প্রশাসনের
তরফে
বিষয়টি
সম্পর্কে
ব্যবস্থা
নেওয়ার
আশ্বাস
দেওয়া
হয়েছে।
শুভেন্দুর অভিযোগ কি সত্যিই! খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় বিজেপি বাংলায় পাঠাচ্ছে তদন্তকারী দল