দুই লোকসভা কেন্দ্রে আটকে সিপিএম-কংগ্রেস জোট, দু’পক্ষই প্রার্থী স্থির করে সম্মুখ-সমরে
যত সমস্যা দুটি আসন নিয়ে। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিএম পরস্পরের হাত ধরতে পারছে না। ঘোর বিপাকে পড়েছে দুই দলই।
যত সমস্যা দুটি আসন নিয়ে। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিএম পরস্পরের হাত ধরতে পারছে না। ঘোর বিপাকে পড়েছে দুই দলই। আসন্ন লোকসভা সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়ার বাধা মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসন নিয়ে। দুই আসনে কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ কোনও শর্তেই।
লড়াই মুর্শিদাবাদে
মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। অধীর চৌধুরীর খাস এলাকা বলেই পরিচিত ছিল এই জেলা। বহরমপুরের সাংসদের সেই দাপট এখনও রয়েছে কি না, তা পরীক্ষার মুখে। বহরমপুরে ১৯৯৯ সাল থেকে একটানা সাংসদ হয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু মুর্শিদাবাদে বর্তমান সাংসদ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান।
জয়ী অাসন সিপিএমের
এই আসনে ২০০৪ সালের আগে টানা সাতবার জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থী। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে কংগ্রেস জয়ী হলেও, ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী মান্নান হোসেন পরাজিত হন। জয়ী হন বদরুদ্দোজা খান। এই জয়ী আসন কিছুতেই ছাড়তে নারাজ সিপিএম।
অধীরের হুঁশিয়ারি
সিপিএম তাঁকেই প্রার্থী করতে চায়। ইতিমধ্যে তাঁর নামে দেওয়াল লিখনও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বেতাজ বাদশা অধীর চৌধুরী চান মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে রাখতে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জোট হলে বামেরা যদি ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দেন, কংগ্রেস এখানে একা লড়বে। প্রার্থী হবেন আবু হেনা।
রায়গঞ্জের পরিস্থিতিও একই
অন্যদিকে রায়গঞ্জের পরিস্থিতিও একইরকম। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে শক্তিশালী হলেও ২০১৪-র নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। প্রিয়রঞ্জনের গড়ে ত্রিমুখী লড়াইয়ে কিস্তিমাত করেছিলেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন যেমন এই কেন্দ্রে সাংসদ ছিলেন। তেমনই প্রিয়-জায়া দীপা পরে এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন। কিন্তু হিসেব উল্টে যায় ২০১৪ সালে।
প্রিয়-আবেগের যুক্তি
২০১৪ সালের নিরিখেই সিপিএম দুই কেন্দ্র দাবি করে আসছে। সিপিএম প্রার্থী করতে চায় সাংসদ মহম্মদ সেলিমকে। কংগ্রেস তায় দীপা দাশমুন্সিকে প্রার্থী করতে। তাঁদের যুক্তি রায়গঞ্জ আসনটি শুধু কংগ্রেসের গড় বলেই পরিচিত নয়, এবার প্রিয়-বিয়োগে আবেগ কাজ করবে এই কেন্দ্রে। তাই দু-পক্ষই অনড়। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা রবিবারের বৈঠক পর্যন্ত।