তৃণমূল-বিজেপির অভিষন্ধি বানচাল করতে ‘ডিজিটাল’ বাম-কংগ্রেস! লড়াই কোমর বেঁধে
বাম-কংগ্রেসও এবার কোমম বাঁঝতে শুরু করে দিল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেসের লক্ষ্য তৃণমূল-বিজেপির হাত থেকে বাঁচা। বাম ভোট রামে রূপান্তরিত হচ্ছে বহুকাল ধরেই।
বাম-কংগ্রেসও এবার কোমম বাঁঝতে শুরু করে দিল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেসের লক্ষ্য তৃণমূল-বিজেপির হাত থেকে বাঁচা। বাম ভোট রামে রূপান্তরিত হচ্ছে বহুকাল ধরেই। এখন আবার তৃণমূল আসরে নেমেছে বাম-কংগ্রেসের মগজ ধোলাই করতে। এই দুই দলের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোই এখন মুখ্য উদ্দেশ্য।
সময়ের দাবি মেনে তিনি ভার্চুয়াল প্রচারে জোর
তৃণমূল ও বিজেপির মোকাবিলায় এবার সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠছে। এতদিন যে বিমান বসু মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না, সেই বিমান বসু এখন ফেসবুক লাইভ করছেন। সময়ের দাবি মেনে তিনি ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দিয়েছেন। কোনওমতেই তৃণমূল-বিজেপিকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ তিনি।
সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে ডিজিটাল প্রচার
সিপিএম থেকে শুরু করে সমস্ত বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসও সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিয়েছে। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে সমন্বয় বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বামেরা। ফেসবুক, টুইটার, এমনকী ইনস্টাগ্রামেও তারা নিবিড় শক্তি বাড়িয়ে চলেছেন। কংগ্রেসও একই পথের পথিক।
তৃণমূল ও বিজেপির অভিষন্ধি বানচাল করতে
বাম-কংগ্রেসের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে তৃণমূল ও বিজেপির অভিষন্ধি বানচাল করে দেওয়া। রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দল শাসন কায়েম করার জন্য যেভাবে দল ভাঙানোর খেলা শুরু করে দিয়েছে, যেভাবে মগজধোলাই করে চলেছে বাম-কংগ্রেস নেতাদের, তা রুখেই সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
বিজেপি ও তৃণমূলের ডিজিটাল শক্তি বনাম বাম-কংগ্রেস
এই করোনার সময়ে রাস্তায় নেমে বা সরাসরি জনসংযোগের পথ বন্ধ। এই অবস্থায় আম্ফান পরবর্তী সময়ে খানিকটা জনসংযোগ করতে পেরেছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূলের ডিজিটাল শক্তির কাছে বাম-কংগ্রেস এঁটে উঠতে পারছে না। তাই এখন থেকে ডিজিটাল শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে দিল তারা।
বাম-কংগ্রেস ডিজিটাল প্রচারের দিকে ঝুঁকে পড়ল
বিজেপিতে এই খেলায় পারদর্শী ছিলই, তৃণমূলও প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিজেদেরকে চ্যালেঞ্জারের জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছে ডিজিটাল লড়াইয়ে। এবার বাম-কংগ্রেস ডিজিটাল প্রচারের দিকে ঝুঁকে পড়ল। প্রশান্ত কিশোরের টিম সম্প্রতি স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন সিপিএম নেতাদের ধরে ধরে মগজধোলাই করছে, তা থেকে বাঁচতে এবার নিজেরাও ডিজিটাল প্লাটফর্মে গিয়ে তৃণমূলকে ভোঁতা করার চেষ্টায় নেমেছে।
বাম-কংগ্রেসও শক্তি বাড়াচ্ছে, ডিজিটাল যুদ্ধ জারি
সিপিএম সম্প্রতি রাজ্যস্তরে এই ডিজিটাল ও সামাজিক মাধ্যমের কাজকর্মের জন্য আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে মহম্মদ সেলিমকে। সেইসঙ্গে জেলায় জেলায় কমিটি গড়া হয়েছে। নিচের স্তরে নিয়োগ করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক। কংগ্রেসও অমিতাভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে এগোতে চাইছে ডিজিটাল যুদ্ধে।