মানস ভুঁইয়া ঘাটালে, সমীর আইচ যাদবপুরে দিল কংগ্রেস
চিত্রশিল্পী সমীর আইচকে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করল কংগ্রেস। বাম সরকারের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন সমীরবাবু। এর পর তৃণমূল সরকারে আসার পক্ষে ঘাসফুলের হয়ে নানা টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল এনাকে।
কিন্তু জনসমক্ষে ধর্ষণ কান্ডের বিরোধিতা করায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তচক্ষুর সামনে পড়েন সমীরবাবু। এরপরই শিবির বদল করেন তিনি। সমীরবাবু তৃণমূলের সুগত বসুর বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
সমীরবাবুর পাশাপাশি কংগ্রেসের বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতাদের নাম ঘোষণা হয়েছে এদিনের তালিকায়। এদিনের তালিকায় ঘোষিত হওয়া নামগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে মানস ভুঁইঞার নাম। ঘাটাল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে।
দলের যে হেভিওয়েট নেতারা নির্বাচনে লড়তে চাইছিলেন না, তাদের নাম রয়েছে এই তালিকায়
ঘাটালে তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা দেব। তারকা ভ্যালু বনাম পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের লড়াই এই কেন্দ্রে। দেবের জনপ্রিয়তা কী মানস ভুঁইয়ার ইমেজকে ছাপিয়ে যাবে তাই দেখার।
এর পাশাপাশি বালুরঘাট থেকে দাঁড় করানো হচ্ছে ওম প্রকাশ মিশ্রকে। আব্দুল মান্নান দাঁড়াচ্ছেন হুগলির শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে। যদিও ভোটে দাঁড়াতে রাজিই ছিলেন না মান্নান। এদিকে দক্ষিণ কলকাতা থেকে দাঁড়াচ্ছেন মালা রায়।
তৃণমূল এবং বামেরা ৪২ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় প্রদেশ কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ছিল। তাই দেরী না করে শক্রবারই ২১ জনের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। এখনও রাজ্যের ৫টি আসন বাকি রয়েছে। সেই কেন্দ্রগুলির দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। তবে, প্রার্থী হতে অনিচ্ছুক প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম এবারের তালিকাতেও নেই।
এদিকে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং অমৃতসর কেন্দ্র থেকে লড়বেন। এই কেন্দ্রে বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছেন অরুণ জেটলি। পাঞ্জাবের আর এখটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র আনন্দপুর সাহেব থেকে দাঁড় করানো হয়েছে অম্বিকা সোনিকে। যদিও কংগ্রেসের পঞ্চম তালিকাতেও বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে কে দাঁড়াবেন তা ঘোষা করা হয়নি।