বিধানসভা ভোট : তলে তলে জোট, রাজ্যস্তরে বাম-কং আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু
কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি : বিধানসভা ভোটের আগে জোট হবে কি হবে না, তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কংগ্রেসের হাই কমান্ড থেকে সরাসরি কোনও জবাব আসেন। সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটিও জোটের জট কাটানোর দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য কমিটির উপরই। তবে দায়িত্ব পেয়েই কাজে নেমে পছেড়ে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতা শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম।
এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও তলে তলে মমতা বিরোধি জোট বাঁধতে নেমে পড়েছে রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব। কংগ্রেস কত আসন চায়, সিপিএম কত আসন ছাড়বে সে নিয়ে একদফা আলোচনা হয়ে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টাও পাকা হয়ে যাবে বলে মনে করছে বাম নেতাদের একাংশ। [জনমত সমীক্ষা : জোট হলে তৃণমূল পাবে ১৮২ টি আসন, না হলে ১৯৭টি]
আলুমুদ্দিন সূত্রের খবর অনুযায়ী, বামেদের কাছে কংগ্রেস ৯০টি আসন চেয়েছে। কিন্তু বামেরা ৬০-৬৫টি আসন ছাড়তে চায় কংগ্রেসের জন্য। ফলে এখনও আসন নিয়ে দর কষাকষি চলছে। তবে আলোচনা পুরোটাই রাজ্যস্তরেই রয়েছে।
বিমান বসু এবং সীতারাম ইয়েচুরি দুজনেই জানিয়েছিলেন, সিপিএম জোট নিয়ে আলোচনায় রাজি আছে, কিন্তু প্রস্তাব যদি কংগ্রেসের তরফে আসে তবেই আলোচনায় বসবে বামেরা। হাই কমান্ডের আশ্বাস না পাওয়ায় এখন রাজ্যস্তরেই চুপিসারে জোটের বাধন শক্ত করতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। তবে আলোচনায় বসার প্রস্তাব কংগ্রেসের তরফে প্রথমে এসেছিল নাকি বামেদের তরফেই প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বামেদের কাছে কংগ্রেস ৯০টি আসন চেয়েছে। কিন্তু বামেরা ছাড়তে চায় ৬০-৬৫টি আসন
কেরল লবির চাপের জেরে কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলার বিধানসভা ভোটের জন্য কং-বাম জোটে সরাসরি সায় দিতে পারছে না সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আবার, জাতীয় রাজনীতির কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিপিএম-এর সঙ্গে জোটে প্রত্যক্ষ সায় দিতে পারছেন না কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাই ভাবুন না কেন রাজ্যে তলে তলে বাম-কং জোট যে হয়েই গিয়েছে তা একপ্রকার পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। জোটের ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা।